কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে করা এফআইআর তুলে নিতে পারে দিল্লি পুলিশ। ছবি: পিটিআই
আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে করা এফআইআর তুলে নিতে পারে দিল্লি পুলিশ। এমনটাই জানা গিয়েছে একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে। ২৮ মে এফআইআর করা হয়েছিল সাক্ষী মালিকদের বিরুদ্ধে। এফআইআরে নাম ছিল বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগটদের বিরুদ্ধেও। সেই এফআইআর তুলে নেওয়া হতে পারে।
২৮ মে আন্দোলনকারী কুস্তিগিরেরা নতুন সংসদ ভবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের জোর করে আটকায় দিল্লি পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগিরদের। সেই ঘটনার পরেই এফআইআর করা হয়েছিল সাক্ষীদের বিরুদ্ধে। যে ঘটনার পরই বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ কুস্তিগিরদের পক্ষে দাঁড়ান। সেই তালিকায় যেমন ফুটবলার সুনীল ছেত্রী ছিলেন, তেমনই ছিলেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারেরা।
কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরের পর বিনেশ টুইটে লিখেছিলেন, “ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে সাত দিন সময় লেগেছিল পুলিশের। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের নামে এফআইআর করতে সাত ঘণ্টাও লাগল না। দেশে কেমন শাসন চলছে? গোটা বিশ্ব দেখছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে।” সেই এফআইআর এ বার তুলে নিতে পারে পুলিশ।
বৃহস্পতিবারই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের আশ্বাস দিয়েছিল, ১৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা হবে। সেই মতো ১৫ জুনই ১০০০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। ১৫০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। অন্য দিকে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পকসো ধারায় মামলা খারিজ করার আর্জিও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের মতে, এই অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই মামলা খারিজ করার আর্জি জানানো হয়েছে।