গোল করতে ব্যর্থ ভারত। ছবি: টুইটার।
লেবাননের বিরুদ্ধে নামার আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল ফাইনাল কোন দুই দল খেলবে। বৃহস্পতিবার ভারত বনাম লেবানন ম্যাচ তাই ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে দুই দলই একে অপরের গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ। একাধিক আক্রমণ হলেও কাঙ্ক্ষিত গোল করতে পারলেন না কেউই।
মঙ্গোলিয়া এবং ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে জিতে ফাইনালের দিকে এক পা এগিয়েই ছিল ভারত। বৃহস্পতিবার মঙ্গোলিয়া হেরে যায় ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের ফলের পরেই ঠিক হয়ে যায় আন্তঃমহাদেশীয় কাপের ফাইনালে ভারত এবং লেবানন খেলবে। ১৮ জুন ফাইনাল। রবিবারের আগে তাই দুই দলের কাছেই সুযোগ ছিল বিপক্ষকে দেখে নেওয়ার। সেটাই করল দুই দল। তবে আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে তারা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সুনীল ছেত্রী নামেন ৮১ মিনিটে। তিনিও চেষ্টা করেন গোল করার। কিন্তু একাধিক চেষ্টার পরেও গোল করা সম্ভব হয়নি।
ভারতের সন্দেশ ঝিঙ্গন ম্যাচের সেরা হন। লেবানেনের আক্রমণ রুখে দেন তিনি। ভারতের হয়ে এই ম্যাচে আক্রমণ ভাগের দায়িত্ব ছিল আশিক কুরুনিয়ানের কাঁধে। তিনি একাধিক বার গোলের সামনে পৌঁছেও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ। প্রথমার্ধে গোলের সামনে একবার বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক মতো পা ছোঁয়াতেই পারলেন না। তাই গোলের পরিস্থিতিটাই তৈরি হল না।
গত ম্যাচে ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে ১-০ জিতেছিল ভারত। যে গোলের পর বাবা হতে চলেছেন বলে সংবাদ দেন সুনীল। তবে সেই গোলের জন্যে অপেক্ষা করতে হয় ৮১ মিনিট পর্যন্ত। দলের উদ্ধারে এগিয়ে আসতে হয়েছিল সুনীলকেই। বাঁ দিক থেকে শুভাশিস বসু বল ভাসিয়েছিলেন বক্সে। প্রীতম কোটাল হেড করতে গিয়েও পারেননি। বল আসে সুনীলের সামনে। তিনি বুক দিয়ে বল রিসিভ করেন। মাটিতে একটি ড্রপ খাওয়া মাত্রই বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। বাকি সময়ে আর কোনও গোল করতে পারেনি ভারত। সেই ম্যাচেই বোঝা গিয়েছিল সুনীল ছাড়া ভারতীয় দলে গোল করার লোক এখনও তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার আরও এক বার সেটাই দেখা গেল। যদিও সুনীলও এ দিন গোল পাননি।