বিতর্কে: কালরার বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ। ফাইল চিত্র
বছর খানেক আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। সেই মনজ্যোৎ কালরাকে বয়স ভাঁড়ানোর অপরাধে এক বছরের জন্য রঞ্জি ট্রফি থেকে নির্বাসিত করল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার (ডিডিসিএ) অম্বাডসমান। কিন্তু একই অপরাধ করার জন্য দিল্লি রঞ্জি দলের সহ-অধিনায়ক এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যান নীতীশ রানাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে আরও কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। রানাকে এখন প্রমাণ করতে হবে তিনি বয়স ভাঁড়িয়েছিলেন জুনিয়র পর্যায়ে। আর এক জন অনূর্ধ্ব-১৯ এবং কেকেআরের ক্রিকেটার, শিবম মাভির বয়স ভাঁড়ানোর বিষয়টি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পাঠিয়েছে ডিডিসিএ। কারণ মাভি এখন উত্তরপ্রদেশের হয়ে রঞ্জিতে খেলেন।
কালরার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে খেলার সময় বয়স ভাঁড়িয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নথিতে কালরার বয়স এখন ২০ বছর ৩৫১ দিন। গত সপ্তাহে বাংলার বিরুদ্ধে দিল্লির অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ৮০ রান করেছিলেন তিনি। রঞ্জি ট্রফিতে শিখর ধওয়নের বদলে দিল্লির হয়ে ইনিংস ওপেন করার কথা ছিল এই বাঁ-হাতি ওপেনারের। কিন্তু তার আগেই নির্বাসনের শাস্তি নেমে এল।
দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘যে অপরাধের জন্য রানাকে ছেড়ে দেওয়া হল, সেই একই অপরাধের জন্য কী ভাবে কালরাকে শাস্তি দেওয়া হল, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’’ যে অম্বাডসমান এই শাস্তি দিয়েছেন, সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দুরেজ আহমেদ সরে যাচ্ছেন ডিডিসিএ থেকে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এ বার দায়িত্বে আসা বিচারপতি দীপক বর্মা কি নতুন করে তদন্ত করবেন কালরার বিষয়টি নিয়ে? উত্তরের অপেক্ষায় আছে ডিডিসিএ।