চিচারিতোর সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে সাইরাস।
মোহনবাগানের হয়ে সই করলেন ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল সাইরাস। বন্ধুমহলে যিনি ‘সায়ো’ নামে পরিচিত। দেশের জার্সিতে ৭৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
স্টোকলি ভেলের হয়ে দীর্ঘদেহী এই ডিফেন্ডারের ইউথ কেরিয়ার শুরু হয়। পরে সান্টা রোজার হয়ে দু’ বছর খেলেন তিনি। মেজর লিগ সকারের ক্লাব কানসাস সিটির হয়ে খেলেন সাইরাস। ২০১৩ সাল সাইরাসের ফুটবল কেরিয়ারের স্মরণীয় বছর। ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর প্রো লিগ, এফএ কাপ ও চ্যারিটি শিল্ড জেতেন তিনি। এশিয়ার জলহাওয়ার সঙ্গেও পরিচিত তিনি। পাঁচ বছর আগে ভিয়েতনামের ক্লাবের হয়ে খেলেছেন সাইরাস। আল ওরুবায় খেলে কলকাতায় পা রাখছেন তিনি।
জাতীয় দল ও ক্লাব পর্যায়ে ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর বিশ্বকাপার অ্যান্টনি উলফের সঙ্গে খেলেছেন সাইরাস। সেন্ট্রাল এফসি-তে খেলার সময়ে খুব কাছ থেকেই সাইরাসকে দেখেছেন উলফ। সবুজ-মেরুনের নতুন এই ডিফেন্ডার সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনর্গল উলফ। তিনি বলছেন, ‘‘খুবই প্রতিভাবান সাইরাস। শূন্যে খুব শক্তিশালী। বিধ্বংসী ফুটবল খেলতে ওস্তাদ।’’ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময়ে উইলিস প্লাজার সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেন বাগানের নতুন ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে প্লাজার কাছ থেকেও টিপস নেবেন সাইরাস।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে যোগ দিতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন বাদশা
আরও পড়ুন: রোভার্স কাপে মজিদকে জড়িয়ে ধরে দিলীপ কুমার বললেন, তুমিই সেরা
ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেন সল ক্যাম্পবেল। সাইরাসের মাথায় ছিল ক্যাম্পবেলের হাত। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ডিফেন্ডার ক্যাম্পবেল সাইরাস সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘আমি যতদিন ত্রিনিদাদ-টোব্যাগোর দায়িত্বে ছিলাম, সেই সময়ে ড্যানিয়েল সাইরাসকে দেখেছি খুব কাছ থেকে। দুর্দান্ত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিল সাইরাস।’’
২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের ম্যাচে পানামা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে সাইরাসের পারফরম্যান্স নজর কেড়ে নিয়েছিল ক্যাম্পবেলের।
ভারতে পা রাখার আগে সাইরাসের উদ্দেশে উলফ বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের হয়ে খেলা খুবই কঠিন ব্যাপার। আমি ভারতে ৬ বছর ধরে খেলছি। এখানকার ফুটবল আমার নখদর্পণে। ভারতে আসার আগে অবশ্যই সাইরাসের সঙ্গে আমি কথা বলব।’’
বন্ধুদের পরামর্শ নিয়েই মোহনবাগানে খেলতে আসছেন সাইরাস।