Karnataka Premier League

ফিক্সিংয়ের জন্য কেপিএলে দেওয়া হতো আইফোন! বিস্ফোরক দাবি এক ক্রিকেটারের

কেপিএলের সঙ্গে জড়িত ছয় ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন ক্রিকেটার, একজন কোচ ও একজন ফ্যাঞ্চাইজি মালিক। এর পর এই টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা ক্রিকেটারদের অনেকেই মুখ খুলছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:১৯
Share:

ক্রিকেটে ফের ফিক্সিংয়ের ছায়া।

ম্যাচ গড়াপেটার জন্য কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল)-এ দেওয়া হতো আইফোন। মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেপিএল-এর এক ক্রিকেটার। যা নিয়ে ক্রিকেটমহলে শুরু হয়েছে প্রবল চর্চা।

Advertisement

সম্প্রতি কেপিএলের সঙ্গে জড়িত ছয় ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন ক্রিকেটার, একজন কোচ ও একজন ফ্যাঞ্চাইজি মালিক। এর পর এই টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা ক্রিকেটারদের অনেকেই মুখ খুলছেন। যার ফলে বেরিয়ে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। এক ক্রিকেটারের দাবি, “আমাকে এক ক্রিকেটার এসে বলে গেল যে, আমাকে এক জনের সঙ্গে শুধু দেখা করতে হবে। বদলে দেওয়া হবে আইফোন। একজন কোচ ছিলেন যাঁর কাজই ছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে বিতরণের জন্য ব্যাগ-ভর্তি আইফোন নিয়ে ঘোরা।” ২০০৯ সালের প্রথম কেপিএল থেকেই খেলছেন, এমন এক ক্রিকেটার বলেছেন, “যখন ওরা বুঝে গেল যে, কয়েকজন কিছুতেই ফিক্সিং করবে না, তখন ওরা সতর্ক হয়ে গেল।”

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের দুর্নীতি-দমন শাখার প্রাক্তন প্রধান রবি সাওয়ানি গত মরসুমে কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগর দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান ছিলেন। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এরও এই শাখার প্রধান ছিলেন তিনি। সাওয়ানি জানিয়েছেন যে, বুকি ও ফিক্সাররা অনেক বার ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দিয়েছেন ম্যাচ সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য। তাঁর কথায়, “ম্যানেজমেন্টকে এটা প্রকাশ্যে আনতে হবে। আমরা দৈনিক ভিত্তিতে এর উপর নজর রাখি। যখনই কোনও ইস্যু থাকে, তা রিপোর্ট করা হয়।”

Advertisement

আরও পড়ুন: আর দুটো ছয় মারলে নাগপুরে রোহিত কী রেকর্ড গড়বেন জানেন?

এক ক্রিকেটার এই ব্যাপারে বলেছেন, “আসলে মাথাতেই সমস্যা থাকলে ক্রিকেটাররা রিপোর্ট করতে চায় না। এমনকি, নিজে ফিক্সিং করতে না চাইলেও কোচ, মালিকরা জড়িত থাকলে তা রিপোর্ট করা সহজ নয়। আমার অধিনায়ক যেমন সৎ ছিল। ও কিন্তু বুঝে ফেলেছিল, দলের মধ্যেই ভুলভাল কিছু হচ্ছে। আর তাই একেবারে শেশ মুহূর্তে ও কোন এগারোজন খেলছে, তা জানাত।”

এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা জানিয়েছেন যে, রান তোলার গতি মন্থর হওয়ায় অধিনায়ক এক ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েছিলেন। পরে বোঝা যায় যে ইচ্ছাকৃত ভাবে রানের গতি মন্থর করা হচ্ছিল। কারণ, ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িতরা সেটাই চাইত। সেই কর্তা সাফ বলেছেন, “স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য ক্যাপ্টেন এক সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েছিল। অধিনায়ক ভেবেছিল খারাপ ফর্মের কারণেই এটা ঘটছে। পরে সে উপলব্ধি করে যে মন্থর ব্যাটিং আসলে ফিক্সিংয়েরই অঙ্গ।”

আবার এক ক্রিকেটার জানিয়েছেন যে, টস জিতে কী করতে হবে, সেই ব্যাপারে নির্দেশের জন্য তাঁর দলের অধিনায়ক অপেক্ষা করতেন। তাঁর দাবি, “ব্যাটিং না বোলিং, টস জিতলে কী করা হবে, তার জন্য নির্দেশ আসত। অপেক্ষায় থাকতেন অধিনায়ক।”

আরও পড়ুন: ফের মানসিক স্বাস্থ্য-সমস্যা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে, ম্যাক্সওয়েলের পর সরলেন অজি ব্যাটসম্যানও​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement