এ বছরের প্রথম দিনই চমক আসে হার্দিক পাণ্ড্যর তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজের এনগেজমেন্টের ঘোষণা করেন। সার্বিয়ান মডেল-অভিনেত্রী নাতাসা স্ট্যানকোভিচ তাঁর বাগদত্তা। নাতাশা বলিউডের পরিচিত মুখ। দুবাইয়ে ছুটি কাটানোর সময় দু’জনের ছবি দিয়ে হার্দিক এনগেজমেন্টের কথা সবাইকে জানান।
তবে বলিউডের সঙ্গে হার্দিকের এটাই প্রথম সম্পর্ক নয়। এর আগেও একাধিক বার হার্দিকের নাম জড়িয়েছে বলিউডের সুন্দরীদের সঙ্গে। কিন্তু ভারতীয় অলরাউন্ডারের সঙ্গে অভিনেত্রীদের সব সম্পর্কই ছিল ক্ষণস্থায়ী। বিগত সে সব সম্পর্কের টানাপড়েন পেরিয়ে হার্দিক পা রাখলেন বাগদান পর্বে।
মডেল লিসা শর্মার সঙ্গে হার্দিকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন রটেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনের ছবিও শেয়ার করতেন তাঁরা। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হল না সেই গুঞ্জন। সোশ্যাল মিডিয়াতেই হার্দিক জানিয়ে দিলেন সম্পর্কের অবসান।
ইনস্টাগ্রামে হার্দিক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি সিঙ্গল। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য, ক্রিকেটে মনোনিবেশ করা। তিনি খুশি হবেন, যদি সব রটনা বন্ধ হয়ে যায়। গুজব বন্ধ হওয়া সবার জন্যই শ্রেয়।
পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে হার্দিকের সম্ভাব্য সম্পর্ক নিয়েও এক সময়ে জোরদার হয়েছিল গুঞ্জন। সেই রটনার সূত্রপাত অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া-ই। একটি বাইসাইকেলের ছবি পোস্ট করে পরিণীতি ক্যাপশন দিয়েছিলেন, ‘মনের মতো সঙ্গীর সঙ্গে একটি আদর্শ ট্রিপ। চারদিকে প্রেমের মরসুম।’
পরিণীতির পোস্টের উত্তরে হার্দিক লেখেন, ‘আমি কি অনুমান করতে পারি? আমার মনে হয় এটা আরও একটি বলিউড-ক্রিকেট সম্পর্ক।’ এর পর ছবিটিরও প্রশংসা করেন হার্দিক। এর পরই হার্দিক-পরিণীতি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। যদিও পরে দু’জনেই জানান তাঁদের মধ্যে কোনও বিশেষ সম্পর্ক নেই।
এলি আব্রামের সঙ্গে হার্দিককে দেখা যেত বিভিন্ন ইভেন্ট এবং বিজ্ঞাপনী শুটিংয়ে। ফলে হার্দিকের রঙিন ভাবমূর্তিতে নতুন পালক জুড়তে সময় লাগেনি। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁরা অস্বীকার করেছিলেন তাঁদের মধ্যে কোনও বিশেষ সম্পর্ক আছে বলে। তারপরেও ফিল্মি গসিপ বন্ধ হয়নি। কারণ হার্দিকের দাদা ক্রুণাল পাণ্ড্যর বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন এলি।
কিন্তু হার্দিক-এলি সম্পর্ক কয়েক মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। এরপর হার্দিকের নাম জড়িয়ে যায় আর এক অভিনেত্রী এষা গুপ্তের সঙ্গে। একটি পার্টিতে দু’জনের প্রথম আলাপ হয়েছিল। কিন্তু হার্দিক এবং এষা, দু’জনেই এই সম্পর্ক অস্বীকার করেছিলেন।
মডেল এবং অভিনেত্রী শিবানী দাণ্ডেকরের সঙ্গে হার্দিক ডেটিং করছিলেন বলে শোনা যেত। সোশ্যাল মিডিয়ায় হার্দিকের পোস্টের উত্তরে শিবানীর একটি কমেন্টই ছিল যাবতীয় রটনার সূত্রপাত।
কিন্তু পরে জানা যায়, হার্দিক-শিবানী সম্পর্ক নিখাদ বন্ধুত্বের। শিবানী এখন ফারহান আখতারের বিশেষ বান্ধবী। ইন্ডাস্ট্রি তাঁদের বিয়ের অপেক্ষায়।
অভিনেত্রী উর্বশী রাউটেলার সঙ্গে হার্দিকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন সবথেকে বেশি জোরালো হয়েছিল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁদের ছবি। এমনকি ইউটিউবে একটি ভিডিয়োও আপলোড হয়েছিল। কিন্তু পরে গোটা বিষয়টিতে নিজের ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী ।
ইউটিউবে যে ভিডিয়োটি আপলোড হয়েছিল, সেখানে লেখা ছিল, প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে সাহায্য চাইলেন উর্বশী রাউটেলা। সে প্রসঙ্গে উর্বশী বলেছেন, তাঁর সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্যর কোনও সম্পর্ক ছিল না কোনও কালেই। আর এই ধরনের খবরের ফলে পারিবারিক জীবনে তাঁকে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ তাঁকে পরিবারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
ইউটিউবের ওই ভিডিয়োর স্ক্রিন শট দিয়ে উর্বশী লেখেন, “আমি বিনয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউটিউব চ্যানেলকে অনুরোধ করছি, এই ধরনের হাস্যকর ভিডিয়ো আপলোড করা বন্ধ হোক। আমার একটা পরিবার আছে যেখানে আমাকে এই সব কথার জবাব দিতে হয় এবং এই ধরনের ভিডিয়ো পরিবারে সমস্যার সৃষ্টি করে।”
এত সবকিছুর পরেও ‘হার্দিকের প্রাক্তন প্রেমিকা’ তকমা রয়েই গিয়েছে উর্বশীর নামের পাশে। নাতাশার সঙ্গে এনগেজমেন্টের খবর হার্দিক ঘোষণা করার পর সবার নজর ছিল তাঁর-ই প্রতিক্রিয়ার দিকে।
কৌতূহলীদের অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখেননি উর্বশী। হার্দিক ও নাতাশার অন্তরঙ্গ ছবি ও এনগেজমেন্টের খবরের সেই পোস্টের নীচে উর্বশী তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। লেখেন, ‘‘তোমাদের দু’জনের সম্পর্ক আজীবন এমন আনন্দ ও ভালবাসায় ভরে থাকুক। সুন্দর জীবন ও অশেষ প্রেমের শুভেচ্ছা রইল দু’জনকেই।’’ (ছবি: ফেসবুক)