যুজ়বেন্দ্র চহাল। —ফাইল চিত্র।
গ্লোবাল চেস লিগে এসজি অ্যালপাইন ওয়ারিয়র্স দলের অ্যাম্বাসাডর যুজ়বেন্দ্র চহাল। ছোটবেলায় দাবায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন এই লেগস্পিনার। চহালের বলতে দ্বিধা নেই, তাঁর প্রথম প্রেম দাবা। ক্রিকেট নয়। গ্লোবাল চেস লিগের মঞ্চে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে চহাল জানিয়েছেন, দাবা তাঁর ধৈর্য বাড়াতে সাহায্য করেছে।
এসজি অ্যালপাইন ওয়ারিয়র্স দলের ম্যাচও দেখলেন চহাল। কিংবদন্তি ম্যাগনাস কার্লসেনের ম্যাচ উপভোগ করেছেন। আর প্রজ্ঞানন্দ, গুকেশদের খেলাও দেখেছেন তিনি। গ্লোবাল চেস লিগে গিয়ে চহাল বলেছেন, ‘‘দাবা থেকেই কিন্তু প্রথম জার্সি পেয়েছিলাম। দাবা খেলার ফলেই এতটা ধৈর্য বেড়েছে। ক্রিকেটেও এই ধৈর্য আমাকে অনেকটা সাহায্য করেছে। অনেক ম্যাচে ভাল বল করলেও উইকেট আসে না। তখন ধৈর্য ধরতে হয়। সহজে হাল ছাড়ি না।’’
দাবাড়ু এবং ক্রিকেটারের মধ্যে খুব একটা যে পার্থক্য নেই, তা জানিয়ে দিচ্ছেন চহাল। বলছিলেন, ‘‘দাবা ও ক্রিকেট এমনই দু’টি খেলা যেখানে ধৈর্য ধরতেই হয়। পার্থক্য একটাই, ক্রিকেটে আগ্রাসন দেখানো যায়। দাবায় সেটা দেখানো যায় না। বল করতে করতে আমি ব্যাটসম্যানকে রাগিয়ে তুলতে কিছু বলতেই পারি। কিন্তু দাবায় এ ধরনের কিছু বলা যায় না। ধৈর্য ধরে থাকতে হয়। ঠিক চালের অপেক্ষা করতে হয়। যা জীবনেও অনেক কাজে লাগে।’’
ভারতীয় দলের হয়ে নানা জায়গায় যাওয়ার সময় সতীর্থ স্পিনার আর. অশ্বিনের সঙ্গে দাবা খেলেন চহাল। জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের কেউই তাঁকে দাবায় হারাতে পারেননি। চহালের কথায়, ‘‘বিমানে যাত্রা করার সময় অশ্বিন ভাই আমার সঙ্গে খেলে। আমাদের প্রাক্তন ট্রেনার শঙ্কর বাসুও খেলতেন।’’