সাইকার সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। — ফাইল চিত্র
মহিলাদের আইপিএল শেষ হতে চলেছে রবিবার। দিল্লি না মুম্বই, কোন দলের হাতে প্রথম ট্রফি উঠবে, তা জানা যাবে কয়েক ঘণ্টা পরেই। তবে বাংলার মেয়ে সাইকা ইশাকের সামনে থাকছে একটা বড় সুযোগ। ডব্লিউপিএলে এই মুহূর্তে ১৫টি উইকেট রয়েছে তাঁর নামের পাশে। আর দু’টি উইকেট পেলেই এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে প্রথম বার খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ থাকছে তাঁর সামনে।
এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম থেকেই ভাল খেলেছেন সাইকা। ডব্লিউপিএলের আগে কেউ সে ভাবে চিনত না তাঁকে। কিন্তু প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে, তত তাঁকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। এ বার তিনি ইতিহাসের সামনে। ইউপি ওয়ারিয়র্সের সোফি একেলস্টোনের ১৬টি উইকেট রয়েছে। তাঁকে টপকাতে ২টি উইকেট লাগবে সাইকার। যদিও ম্যাচের আগে তিনি বলেছেন, “বেগুনি টুপি চাই না। ট্রফি চাই। ওটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে আমায়। এটা তো সবে শুরু। আগে কী ভাবে এগোব সেটাই ভাবছি।”
আইপিএলে সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে পাঁচটি ট্রফি জিতেছে তারা। শেষ বার ট্রফি এসেছে ২০২০-তে। কিন্তু গত দু’বছর আইপিএলটা একেবারেই ভাল যায়নি রোহিতদের কাছে। এক বার নয়ে, গত বার সবার নীচে শেষ করেছে তারা। এ বারের আইপিএলে কী হবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু দাদারা মাঠে নামার আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন বোনেরা।
ডব্লিউপিএলের শুরুর দিকে তিনটি অর্ধশতরান করে দুরন্ত ছন্দে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক হরমন। কিন্তু পরের দিকে তাঁর ব্যাটে রান নেই। এলিমিনেটরে শুরুটা ভাল করেও ১৪ রানে আউট হয়ে যান। হরমনপ্রীত এবং ন্যাট শিভার ব্রান্টকে আউট করে দিলে মুম্বইয়ের প্রধান অস্ত্র দুটিকেই ভোঁতা করে দেওয়া যাবে। ল্যানিংদের চোখ সে দিকেই। পাশাপাশি এলিমিনেটরে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়া ইসি ওয়াংকে সামলানোও কঠিন হতে চলেছে দিল্লির কাছে।দিল্লি প্রতিযোগিতায় শুরুটা করেছিল ধীরেই। ক্রমশ তারা ছন্দ পেতে থাকে এবং লিগ তালিকার শীর্ষস্থান থেকে সরিয়ে দেয় মুম্বইকে। অধিনায়ক ল্যানিংয়ের পাশাপাশি অলরাউন্ডার মারিজেন কাপও নজর কেড়েছেন। শুরুর দিকে জেমাইমা রদ্রিগেস, শেফালি বর্মারা রান পেলে এবং অ্যালিস ক্যাপসি বা জেস জোনাসেনরা জ্বলে উঠলে দিল্লির হাতে ট্রফি না ওঠার কোনও কারণ নেই।