বিশ্বকাপ হাতে কামিন্স। ছবি: পিটিআই।
সিডনির বিমানবন্দরে নামার পরে নিজেই নিজের মালপত্র ঠেলে বেরিয়ে এলেন বিমানবন্দরের বাইরে। আশপাশের মানুষ কিছু ক্ষণ ঘুরে তাকালেন। ওটুকুই। সামনে আলোকচিত্রীরা ছবি তুললেন। কালো টিশার্ট এবং কালো জিন্স পরিহিত প্যাট কামিন্স এর পর নিজেই মালপত্র ঠেলে চলে গেলেন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের দিকে। বিশ্বজয়ী অধিনায়কের দেশে ফেরা নিয়ে এ রকমই নীরব সে দেশের জনতা। না আছে কোনও উন্মাদনা, না আছে অভ্যর্থনা জানানোর কোনও মানুষ। তবে পরে কামিন্স জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ জয়ের ঘোর এখনও কাটেনি তাঁর। ঠিক করে নিয়েছেন পরের লক্ষ্যও।
ভারত বিশ্বকাপ জিতলে রোহিত শর্মা কখনও এতটা শান্তিতে থাকতে পারতেন না। অন্তত এক মাস ধরে তাঁকে নিয়ে ব্যস্ততা, উন্মাদনা থাকত মানুষের। কিন্তু ক্রিকেট এখনও অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় সারির খেলা। সে দেশে রাগবি, অস্ট্রেলিয়ান রুল্স ফুটবলের দাপট। তাই কামিন্সের বিশ্বজয় করে দেশে ফেরাতেও কারও উৎসাহ নেই।
সংবাদমাধ্যম অবশ্য ছাড়েনি। বিশ্বজয়ী অধিনায়ক দেশে ফিরে বলেন, “মনে হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে হাসিমুখই দেখতে পাবেন। এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছি। আধ ঘণ্টা আগেই বিশ্বকাপ জিতে ওঠার অনুভূতি হচ্ছে। হয়তো আবার উত্তেজিত হয়ে পড়ব। চার বছর পর বিশ্বকাপে আসে। সেটা জেতা, তা-ও আবার ভারতের মতো জায়গায়। খুব কঠিন ছিল।”
ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে না থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বেশি দিন বিশ্রামের উপায় নেই। পরের মাসেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ় রয়েছে। সে প্রসঙ্গে কামিন্স বলেছেন, “দেশের মাটিতে গরমকালে তো অনেক খেলা থাকে। আপাতত দু’সপ্তাহের বিশ্রাম নিয়েই নেমে পড়তে হবে। এক দিনের দল এবং টেস্ট দল প্রায় একই। আশা করি দু’সপ্তাহ পর আবার সবার সঙ্গে দেখা হবে।”