Sanju Samson

কেন খেলেননি ঘরোয়া ক্রিকেট? ‘অবাধ্য’ সঞ্জুর বিরুদ্ধে তদন্তের পথে বোর্ড

প্রথম শাস্তিটা কি সঞ্জু স্যামসন পাচ্ছেন? সম্ভাবনা তেমনই। সঞ্জুর বিরুদ্ধে তদন্তের পথে বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না-ও রাখা হতে পারে তাঁকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৩
Share:

সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।

জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারেরা ঘরোয়া ক্রিকেট না খেললে শাস্তি পাবেন বলে শোনা গিয়েছিল। প্রথম শাস্তিটা কি সঞ্জু স্যামসন পাচ্ছেন? সম্ভাবনা তেমনই। সঞ্জুর বিরুদ্ধে তদন্তের পথে বোর্ড। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না-ও রাখা হতে পারে তাঁকে। বিজয় হজারে ট্রফি না খেলে সমস্যার মুখে সঞ্জু।

Advertisement

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা) কেরলের অধিনায়ক ছিলেন সঞ্জু। সেই প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর কেরলের ক্যাম্প ছিল বিজয় হজারে ট্রফির (ভারতের ঘরোয়া এক দিনের প্রতিযোগিতা) জন্য। কিন্তু সেই ক্যাম্পে যোগ দেননি সঞ্জু। যে কারণে কেরল তাঁকে বিজয় হজারে ট্রফির দলে রাখেনি। সেই প্রতিযোগিতা খেলা হয়নি সঞ্জুর। তাঁর বিরুদ্ধে এ বার তদন্তের পথে বোর্ড। খতিয়ে দেখা হবে কেন সঞ্জু বিজয় হজারে ট্রফি খেলেননি।

বিজয় হজারে ট্রফিতে কেরলের ১৫ জনের দলে নাম ছিল না সঞ্জুর নাম, যা চমকে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট মহলকে। সঞ্জু দলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দেননি। সেই বিশৃঙ্খলার কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কেরল ক্রিকেট সংস্থার সচিব বিনোদ এস কুমার। সঞ্জুকে বাদ দিয়ে বিজয় হজারে ট্রফির দল ঘোষণা করার পর তিনি বলেছিলেন, “সঞ্জু আমাদের জানিয়েছে যে, ও প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিতে পারবে না। ওয়েনাড়ে একটা প্রস্তুতি শিবির হবে। সেখানে যারা যোগ দেবে, তাদের মধ্যে থেকেই দল বেছে নেওয়া হবে। সঞ্জুর সঙ্গে আর কোনও রকম কথা হয়নি।”

Advertisement

পরে অবশ্য সঞ্জু জানিয়েছিলেন যে, তিনি খেলার জন্য তৈরি। সেই সময় বিনোদ বলেছিলেন, “সঞ্জু দু’দিন আগে জানিয়েছে যে, সে খেলার জন্য তৈরি। তবে তাঁকে দলে নেওয়া হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। হায়দরাবাদে এখনও দলের অনেক ম্যাচ বাকি। সবে দুটো ম্যাচ খেলা হয়েছে।” পরে যদিও সঞ্জুকে বিজয় হজারের দলে নেওয়াই হয়নি।

কেরল ক্রিকেট সংস্থার সচিব যদিও পরে জানিয়েছিলেন সঞ্জু প্রস্তুতি শিবিরে যোগ না দেওয়ার কথা বললেও কোনও কারণ জানাননি। তিনি বলেছিলেন, “সঞ্জুর ইমেল পেয়েছিলাম। তবে কোনও কারণ উল্লেখ করেনি ও। চোটের জন্য সচিন বেবিও ছিল না। দু’জন সিনিয়র ক্রিকেটারকে পাইনি আমরা। তাই তরুণদের সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। তত দিনে দলও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সঞ্জুর জন্য এক জন তরুণকে বাদ দেওয়া সে সময়ে সম্ভব ছিল না।” কেরল ক্রিকেট সংস্থা শাস্তি হিসাবে সঞ্জুকে বাদ দিয়েছিল। এ বার আরও বড় শাস্তি পেতে পারেন তিনি। বাদ পড়তে পারেন ভারতীয় দল থেকেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যে ভারতীয় দল বাছবেন নির্বাচকেরা, সেখানে না-ও রাখা হতে পারে সঞ্জুকে।

১৯ জানুয়ারি নির্বাচকদের একটি বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল বেছে নিতে পারেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “বোর্ড ঘরোয়া ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। গত বছর ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ারকে বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার অপরাধে। সঞ্জু বোর্ড বা নির্বাচকদের জানায়নি ও কেন বিজয় হজারে খেলেনি। তবে এটা জানা গিয়েছে যে, সঞ্জু দুবাইয়ে ছিল।”

সঞ্জুকে যদিও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ভারতীয় দলে রাখা হয়েছে। তবে বিজয় হজারে ৫০ ওভারের খেলা। সঞ্জু সেটা খেলেননি বলে তাঁকে সেই ধরনের ক্রিকেট থেকেই বাদ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে সঞ্জু যদি তাঁর বিজয় হজারে না খেলার জন্য কোনও কারণ দেখাতে পারেন, তা হলে ঠিক আছে। নয়তো এক দিনের ক্রিকেট থেকে বাদ পড়তে পারেন তিনি। কেরল ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে সঞ্জুর সম্পর্ক ভাল নয় বলেই জানা যায়। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হলে এই সম্পর্ক ঠিক করতেই হবে। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সমস্যা বাড়বে সঞ্জুরই।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেটরক্ষক হিসাবে ঋষভ পন্থ এবং লোকেশ রাহুলের সঙ্গে দৌড়ে রয়েছেন সঞ্জুও। কিন্তু যদি কেরলের উইকেটরক্ষককে না নেওয়া হয় তা হলে দৌড়ে ঢুকে পড়তে পারেন ধ্রুব জুরেলও। কারণ দু’বছর আগে পায়ের পেশিতে চোট পাওয়ার পর রাহুলের উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলায় অনীহা রয়েছে। রাহুল যদি উইকেটরক্ষক হিসাবে না খেলেন তা হলে নির্বাচকের কত জন উইকেটরক্ষক দলে নেন, সে দিকে নজর থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement