ভারতীয় দলে অভিষেকের আগে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সরফরাজ় খান। ছবি: পিটিআই।
৯৭ নম্বর জার্সি। যখনই মাঠে খেলতে নেমেছেন, এই নম্বরের জার্সি গায়েই খেলেছেন সরফরাজ় খান। রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছে সরফরাজ়ের। সেখানেও ৯৭ নম্বর জার্সি গায়েই নেমেছেন তিনি। কেন সরফরাজ়ের জার্সিতে এই বিশেষ সংখ্যা। তার নেপথ্যে রয়েছে গল্প।
এই সংখ্যার নেপথ্যে রয়েছেন সরফরাজ়ের বাবা নওশাদ খান। তিনি মুম্বইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচিত নাম। কোচ নওশাদের নামে দু’টি সংখ্যা রয়েছে। হিন্দি ৯-কে নও আর ৭-কে সাত (শাদ-এর অপভ্রংশ) বলা হয়। বাবার জন্যই এই নম্বরের জার্সি গায়ে খেলেন সরফরাজ়। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল থেকে শুরু করে আইপিএল, সব জায়গায় ৯৭ নম্বরই দেখা গিয়েছে সরফরাজ়ের জার্সিতে। রাজকোটেও সেটাই দেখা গেল।
সতীর্থদের মাঝে দাঁড়িয়ে অনিল কুম্বলের হাত থেকে টেস্ট অভিষেকের টুপি নেন সরফরাজ়। ছেলের কেরিয়ারের সব থেকে বড় মুহূর্তের সাক্ষী থাকেন বাবা। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখেন তিনি। নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি নওশাদ। কেঁদে ফেলেন তিনি।
সরফরাজ়কে টুপি নিতে দেখে প্রথমে হাসছিলেন নওশাদ। তার পরেই কেঁদে ফেলেন তিনি। জামা দিয়ে চোখ ঢাকেন। টুপি পেয়ে প্রথমেই বাবার কাছে যান সরফরাজ়। তাঁকে টুপি দেখান। ছেলে জড়িয়ে ধরেন বাবাকে। বোঝা যাচ্ছিল, এত বছরের অপেক্ষার অবসানের পরে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। চোখের জল বাঁধ মানছিল না নওশাদের। সেখানে ছিলেন সরফরাজ়ের স্ত্রীও। বাবার পরে স্ত্রীকেও জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ়।
ইংল্যান্ড সিরিজ়ে সুযোগ পেলেও প্রথম দুই টেস্টের দলে জায়গা পাননি সরফরাজ়। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে যে ভারতীয় জার্সিতে তাঁর অভিষেক হতে চলেছে তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কারণ, শ্রেয়স আয়ারকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় টেস্টের পরে জানা যায় লোকেশ রাহুল খেলতে পারবেন না। তার পরেই সরফরাজের অভিষেক নিশ্চিত হয়ে যায়।