রক্তাক্ত অবস্থায় জ্বলন্ত গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন পন্থ। ছবি: টুইটার।
ভোর রাতে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর নিজেই উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে বেরিয়ে আসেন ঋষভ পন্থ। না হলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত তাঁর। কারণ দুর্ঘটনার পরেই তাঁর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় কেমন ছিল পন্থের অবস্থা? প্রকাশ্যে এসেছে সেই ভিডিয়োও।
দুর্ঘটনার প্রবল শব্দে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এবং পুলিশ কর্মীরা। পন্থ নিজের চেষ্টাতেই বেরিয়ে আসেন জ্বলন্ত গাড়ি থেকে। কপাল ফেলে রক্ত পড়ছিল উইকেটরক্ষকের। গাল, নাক বেয়ে রক্তের ধারা নেমে আসছিল তাঁর। হাত দিয়ে রক্ত মুছতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয়দের দেওয়া একটি চাদর গায়ে জড়িয়ে ছিলেন পন্থ। তাঁর মুখে যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে অল্প কিছু কথা বলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। উদ্ধারকারীদের তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘‘আমি ঋষভ পন্থ। আমার গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
উত্তরাখণ্ড পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছে, পন্থের মার্সিডিজ় গাড়িটি দ্রুতগতিতে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে থেমে যায়। দুর্ঘটনার পরই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার ফলে পন্থের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলার পর আপাতত ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা নেই পন্থের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দলে তাঁকে রাখা হয়নি। এই সুযোগে পরিবারের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষ কাটাতে রুরকির বাড়িতে ফিরছিলেন ২৫ বছরের ক্রিকেটার। গাড়িতে একাই ছিলেন। নিজেই চালাচ্ছিলেন মার্সিডিজ়টি। গাড়ি চালাতে চালাতে ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন পন্থ। দুর্ঘটনার পর পুলিশকে তেমনই জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন উইকেটরক্ষক। মৃত্যুও হতে পারত তাঁর।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্মীও বলেন, “মনে হয় পন্থ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কুয়াশা ছিল না ওই জায়গায়। চোখের উপর চোট রয়েছে। হাঁটু এবং পিঠে চোট রয়েছে তাঁর। তদন্তের জন্য গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করেছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।” উল্লেখ্য, আগুন ধরে যাওয়ার পর পন্থের গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দেহরাদূনের হাসপাতাল থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। পন্থের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।