ভারতীয় ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে ভারতের একটি ম্যাচ নিয়েই সমর্থক থেকে ক্রিকেটারদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। তা হল পাকিস্তান ম্যাচ। শনিবার আমদাবাদে সেই ম্যাচে একপেশে জিতেছে রোহিত শর্মার দল। এ রকম ম্যাচ জেতার পর স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তি কোনও উৎসব-উচ্ছ্বাস থাকে যে কোনও দলেরই। কিন্তু রোহিতরা কোনও রকম উৎসব করতে চাইলেন না। তাঁদের মতে, ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত যাবতীয় উৎসব তুলে রাখাই যায়। কারণ, ওই দিনই বিশ্বকাপের ফাইনাল।
গোটা দেশ যখন শনিবার রাত থেকেই উৎসব শুরু করে দিয়েছে, তখন ভারতীয় দল তার উল্টো মেরুতে। দলের মতে, সবে অর্ধেক কাজ হয়েছে। হোটেলে ফিরে গোটা দল একটি বিরাট কেক কাটে। তার পর সবাই একসঙ্গে নৈশভোজ সারেন। ওটুকুই। এর পরে বাড়তি উচ্ছ্বাস কারও মধ্যেই দেখা যায়নি।
দলের এক সূত্র সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “বিশেষ কিছুই হয়নি। চেনাপরিচিত কিছু গান বাজানো হয়েছে। সকলে একসঙ্গে খাবার খেয়েছে। দলের মধ্যে একতা বাড়ানোর জন্যেই একসঙ্গে নৈশভোজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসলে প্রত্যেকেই পুরোদস্তুর পেশাদার। নিজেদের কাজ সম্পূর্ণ হলে তবেই ওরা উৎসব করবে। প্রত্যেকে খুশি ঠিকই। কিন্তু সেমিফাইনালে ওঠার আগে এখনও ছ’টা ম্যাচ বাকি।”
গোটা দলের মধ্যে পরিবেশও বেশ হালকা। একে অপরের সঙ্গে হাসিঠাট্টা, পিছনে লাগা চলছেই। কেউ মজার জোক্স বলছেন, আবার কেউ অতীতের কোনও মজার ঘটনা টেনে আনছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও অনেকটা তৃপ্ত। তিনি নিজে ভাল ইনিংস খেলেছেন। দলের কোনও ক্রিকেটারকে নিয়েও চিন্তা নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে পুণে রওনা হওয়ার আগে তাই ভারত বেশ ফুরফুরেই।