কেমন ছিল শাস্ত্রীর কোচিং জীবন ছবি:এএফপি
টি২০ বিশ্বকাপের পরেই চাকরি গিয়েছে রবি শাস্ত্রীর। সেই সঙ্গে তাঁর দুই সহকারীকেও সরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিরাট কোহলীদের কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর কী কী গুণ ছিল সে কথা জানালেন এক সময়ে তাঁরই সহকারী ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীধর বলেন, ‘‘শাস্ত্রীর সব থেকে বড় দু’টি গুণ ছিল নেতৃত্ব দেওয়া ও দলকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে এই দু’টি ক্ষেত্রেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। শাস্ত্রী ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুব খোলামেলা ছিলেন। তাঁর কাছে যেতে কেউ সঙ্কোচ করত না। সবাই নিজেদের সমস্যার কথা খুলে বলত। ফলে সহজেই সমস্যার সমাধান হত।’’
কোচ হিসেবে সহকারী থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের কথা শাস্ত্রী মন দিয়ে শুনতেন বলে জানিয়েছেন শ্রীধর। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ম্যাচের আগে সবার কথা মন দিয়ে শুনতেন শাস্ত্রী। হতে পারে কারও পরামর্শ তাঁর পছন্দ হচ্ছে না, তার পরেও তাঁর কথা শুনতেন। আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতানৈক্য হত। কিন্তু আমরা সবাই দলের ভালর কথা বলতাম। শেষ পর্যন্ত যেতা দলের জন্য ভাল সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হত।’’
শাস্ত্রীর আমলে কী ভাবে খারাপ পরিস্থিতি থেকে দল বার বার বেরিয়ে আসে সেই প্রশ্নও নাকি করেছিলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক তথা ভারতের প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। শ্রীধর বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে ৩৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সিরিজ জিতেছিলাম। গোটা বিশ্ব সেটা দেখে অবাক হয়েছিল। গ্রেগ চ্যাপেল তো এসে শাস্ত্রীর কাছে জানতে চান কী ভাবে বার বার আমরা খারাপ অবস্থা থেকে এ ভাবে ফিরে আসি।’’