চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করলে কী কাজ করতে হবে কাম্বলিকে। ফাইল ছবি
কিছু দিন আগেই একটি চাকরির জন্যে কাতর আবেদন করেন বিনোদ কাম্বলি। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার জানান, বোর্ডের দেওয়া মাসিক ৩০ হাজার টাকার পেনশনে তাঁর সংসার চলছে না। সেই শুনে গুজরাতের এক ব্যবসায়ী এগিয়ে এসে কাম্বলিকে মাসিক এক লাখ টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কাম্বলি সেই চাকরি করবেন কি না, এখনও তা জানা যায়নি। তবে কী ধরনের কাজ তাঁকে করতে হবে সেটা জানা গিয়েছে।
আহমদনগরের বাসিন্দা সন্দীপ থোরাট একটি বেসরকারি অর্থনৈতিক সংস্থার মালিক। তিনিই চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন কাম্বলিকে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারের আবেদন গিয়েছে তাঁর কানে। সন্দীপ জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থা মুম্বইয়ে একটি শাখা খুলতে চলেছে। সেখানেই ম্যানেজারের পদে চাকরি দেওয়া হবে কাম্বলিকে। সেই শাখার যাবতীয় পরিচালনার ভার থাকবে কাম্বলির উপর।
কাম্বলি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি এখন সত্যিই খুব খারাপ। এক সময় যাঁর গলায় সোনার হার, হাতে সোনার ব্রেসলেট, চোখে কালো রোদচশমা নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত, তাঁকে এখন সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাতে দেখা যায়। তাঁর শরীর ভাল যে নেই সেটাও জানিয়েছেন। আগের মতো আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন আর করেন না। সম্প্রতি একটি কফি শপে যান। সেখানে উপস্থিত কিছু মানুষ দেখেছেন, কাম্বলি যে মোবাইল ব্যবহার করেন তার স্ক্রিনটিও ক্ষতিগ্রস্ত। ভারতের প্রাক্তন দাপুটে ক্রিকেটারের অবস্থা দেখে অনেকেই সমব্যথী।