হনুমা বিহারী। —ফাইল চিত্র।
দলীপ ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল। সেই ম্যাচে প্রথম দিনে দক্ষিণাঞ্চল ১৮২ রানে সাত উইকেট হারিয়েছে। অধিনায়ক হনুমা বিহারী ৬৩ রান করেন। তিলক বর্মা করেন ৪০ রান। বাকি কোনও ক্রিকেটারই সে ভাবে রান করতে পারেননি।
বুধবার থেকে শুরু হল দলীপ ট্রফির ফাইনাল। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমাঞ্চল। দক্ষিণাচলের হয়ে ওপেন করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে যান রবিকুমার সমর্থ। মায়াঙ্ক আগরওয়াল করেন ২৮ রান। তাঁরা ফিরলে দলের হাল ধরেন তিলক এবং হনুমা। কিন্তু তিলক ফিরতেই একের পর উইকেট হারাতে থাকে ভারত। তিলক যখন আউট হন, দলের তখন ১২১ রান। এই সময় তিন উইকেট পড়েছিল দক্ষিণাঞ্চলের। তার পরেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। ১৮২ রানের মধ্যে চলে যায় সাত উইকেট। রিকি ভুঁই, সচিন বেবি, ওয়াশিংটন সুন্দরেরা রান পাননি।
প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে পুরো ৯০ ওভার খেলা হয়নি। ৬৫ ওভার খেলা হয় বুধবার। আলো কম থাকার কারণে তাড়াতাড়ি দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। পিচে সবুজ ঘাস না থাকলেও আবহাওয়ার কারণে পেসাররা সাহায্য পান। পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন গুজরাতের দুই পেসার আরজান নাগওয়াসওয়ালা এবং চিন্তন গাজা। দু’টি উইকেট নেন শামস মুলানিও। একটি উইকেট নেন অতিত শেঠ। তিলক ক্রিজে জমে যাওয়ার পরেও নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। আরজানের ফুল লেংথ বলে ক্যাচ তুলে দেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পাওয়া তিলক। মুলানির বলে বোল্ড হয়ে যান হনুমা। ভারতীয় দলে ফেরার চেষ্টায় থাকা ব্যাটারও বড় রান করতে ব্যর্থ হন।
সেমিফাইনালে মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে খেলেছিল পশ্চিমাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার জন্য ফাইনালে ওঠে চেতেশ্বর পুজারার দল। অন্য সেমিফাইনালে দক্ষিণাঞ্চল হারিয়ে দিয়েছিল উত্তরাঞ্চলকে।