বাবর আজ়ম। ছবি: পিটিআই।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হার মেনে নিতে পারছেন না ওয়াসিম আক্রম। পাকিস্তানের পুরো দলকে নিয়েই বিরক্ত প্রাক্তন অধিনায়ক। প্রশ্ন তুলছেন বাবর আজ়মদের ফিটনেস নিয়ে। আদৌ তাঁরা পাকিস্তানের জার্সিতে খেলার যোগ্য কি না, সেই প্রশ্নও তুললেন প্রাক্তন বাঁহাতি পেসার। বাবরদের ফিটনেস নিয়েও খোঁটা দিলেন আক্রম।
সোমবার চেন্নাইয়ের মাঠে পাকিস্তান হেরে যায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ৮ উইকেটে সেই হারের ফলে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তাও কঠিন হয়ে গিয়েছে। পর পর তিন ম্যাচে হেরে গিয়েছেন বাবরেরা। এর পরেই পাকিস্তানের হয়ে নেওয়া ৯১৬টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক বলেন, “খুব লজ্জার একটা দিন। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিল আফগানিস্তান। পিচ যেমনই হোক না কেন, ২৮০-২৯০ যথেষ্ট বড় রান। দলের ফিটনেস কোথায়? গত দু’বছর ধরে কোনও ফিটনেস পরীক্ষা হয় না। আমরা বার বার এটা নিয়ে বলে এসেছি। এখন আমি ক্রিকেটারদের নাম নিয়েও বলি, যে কার কার ফিটনেস নেই। দেখে মনে হয় প্রতি দিন ৮ কিলো নিহারি (পাঁঠার মাংসের পদ) খায় ওরা। একটা তো পরীক্ষা হবে। সকলে পেশাদার ক্রিকেটার। টাকা পাচ্ছে খেলার জন্য। দেশের জন্য খেলতে নামছে। একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি তো থাকবে।”
১৯৯২ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ইমরান খানের নেতৃত্বে সেই জয়ের পর আর বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেনি তারা। এ বারে বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের দল নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু পর পর তিনটি ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাবরের নেতৃত্ব নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। চেন্নাইয়ের পিচে স্পিনারদের থেকে পেসারদের উপর বেশি ভরসা করার সিদ্ধান্তের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। আফগানিস্তান যেখানে চার জন পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল, সেখানে পাকিস্তান দলে ছিলেন এক মাত্র উসামা মির। সঙ্গে দুই অলরাউন্ডার শাদাব খান এবং ইফতিখর আহমেদ। এই তিন জন স্পিনারকে খেলালেও তাঁদের পুরো ওভার করাননি। বরং পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলিকে দিয়ে পুরো ওভারের কোটা শেষ করান বাবর। যদিও পাকিস্তানের স্পিনারেরা কোনও উইকেট এনে দিতে পারেননি।