ICC World Cup 2023

কোহলির শতরানের আগের বলটি ‘ওয়াইড’ ছিল? কী বলছে দেড় বছর আগে বদলে যাওয়া ওয়াইডের নিয়ম?

পুণেতে ৪২তম ওভারে বল করতে আসেন নাসুম আহমেদ। তিনি প্রথম বলটাই রাখেন লেগ স্টাম্পের বাইরে। সকলে ভেবেছিলেন বলটি ওয়াইড। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো ওয়াইড দেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২৪
Share:

ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের সঙ্গে বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।

বিরাট কোহলিকে শতরান করতে দেওয়ার জন্যই নাকি ওয়াইড দেওয়া হয়নি। আম্পায়ার ইচ্ছা করে ওয়াইড দেননি বলে অভিযোগ অনেকের। কিন্তু আইসিসি-র নতুন নিয়ম বলছে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক। ওটা ওয়াইড ছিলই না।

Advertisement

পুণেতে ৪২তম ওভারে বল করতে আসেন নাসুম আহমেদ। তিনি প্রথম বলটাই রাখেন লেগ স্টাম্পের বাইরে। সকলে ভেবেছিলেন বলটি ওয়াইড। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো ওয়াইড দেননি। সেই সময় ভারতের জয়ের জন্য চাই ২ রান। কিন্তু শতরান করার জন্য বিরাটের ৩ রান প্রয়োজন ছিল। ওই বলটি ওয়াইড হয়ে গেলে বিরাটের কাছে কঠিন হয়ে যেত শতরান করা। হয়তো নাসুম আরও একটি রান অতিরিক্ত হিসাবে দিয়ে দিতেন। তাতে বিরাটের আর শতরান করা হত না। যদিও বিরাট বেশি অপেক্ষা করাননি। তিনি ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান এবং শতরান করেন। কিন্তু ওয়াইড কেন দেওয়া হল না?

আইসিসি-র পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, একটি বৈধ্য বল (নো বল এমন) যদি ব্যাটার যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানের থেকে দূরে করা হয় তাহলে বলটি ওয়াইডের নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু এই নিয়ম পাল্টে যায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বোলার বল করার সময় ব্যাটার যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানের থেকে দূরে বল করলে ওয়াইড হবে। কিন্তু বোলার বল করে দেওয়ার পর ব্যাটার নিজের জায়গা সরে গেলে সেটা ওয়াইড হবে না। বল লেগ সাইডের বাইরে যাচ্ছে দেখে বিরাট ইচ্ছাকৃত ভাবে সরে গিয়েছিলেন। সেই কারণে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার।

Advertisement

বিরাট যদিও শতরানের কথা ভেবে খেলছিলেন না। শেষ দু’ওভারে দেখা যায় বিরাট সিঙ্গলস নিচ্ছেন না। বাউন্ডারি মেরে শতরান করার চেষ্টা করছেন। তাতে অনেকেই বিরাটকে ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু লোকেশ রাহুল বলেন, “আমি সিঙ্গলস নিতে চাইছিলাম না। বিরাট বলে যে, লোকে বলবে আমি শতরানের জন্য খেলছি। কিন্তু আমি বলি যে, দলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। শতরান করতে গেলে দলের অসুবিধা হবে না।” রাহুল নিজেও এ বারের বিশ্বকাপে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। সে বার তিনি একটুর জন্য শতরান করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অল্পের জন্য সেটা ছয় হয়ে যায়। তাতেই ভারত জিতে যায়। ফলে ৯৭ রানে থেমে যেতে হয়েছিল রাহুলকে। বিরাটের শতরানের পথে তাই তিনি বাধা হতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement