রবীন্দ্র জাডেজা। ছবি: রয়টার্স।
ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। সেই পুরস্কার নিয়ে তিনি রবীন্দ্র জাডেজার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘জাড্ডু তোর কাছ থেকে ম্যাচের সেরার পুরস্কারটা চুরি করে নেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইছি।’’ ম্যাচের সেরা হওয়ার কথা ছিল জাডেজার, কিন্তু শতরান করে বিরাট সেই পুরস্কার ছিনিয়ে নেন। তবে জাডেজা অন্য পুরস্কার জিতে জবাব দিলেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফিল্ডারদের নেওয়া দু’টি ক্যাচ সমর্থকদের মনে থেকে গিয়েছে। ভারতের সাজঘরে এখন সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই পুরস্কার জিতলেন জাডেজা। হারিয়ে দিলেন লোকেশ রাহুলকে।
পুণেতে প্রথমে রাহুল ক্যাচ নেন মহম্মদ সিরাজের বলে। মেহিদি হাসান মিরাজের উইকেট তুলে নেন তিনি। মেহিদির লেগ সাইডে বল করেছিলেন সিরাজ। সেই বলে ব্যাট ছোঁয়ান মেহিদি। বল যাচ্ছিল রাহুলের বাঁ দিকে। ডানহাতি রাহুল বাঁ দিকে ঝাঁপ দেন। অসাধারণ দক্ষতায় এক হাতে ধরে নেন সেই ক্যাচ। মনে হচ্ছিল তিনিই এই ম্যাচের সেরা ফিল্ডার হবেন। কিন্তু হিসাব ওলটপালট করে দেন জাডেজা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ ধরেন জাডেজা। যশপ্রীত বুমরার বল পয়েন্টের দিকে মেরেছিলেন মুশফিকুর। সেই বল ধরতে বাঁহাতি জাডেজা লাফ দেন ডান দিকে। তিনি যখন বলটি তালুবন্দি করেন, তখন তাঁর পুরো শরীর হাওয়ায় ভাসছে। সেই ক্যাচ নিয়ে তিনি নিজেই নিজেকে সেরা ফিল্ডার হওয়ার দাবিদার বলে ঘোষণা করে দেন। মাঠ থেকেই ইঙ্গিত করেন গলায় পদক পরার।
ভারতীয় দলের সাজঘরে এই বিশ্বকাপে একটি বিশেষ পুরস্কার চালু করা হয়েছে। সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়া হয়। বিচার করেন ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। তিনি বাংলাদেশ ম্যাচের পর জাডেজাকেই সেরা বেছে নেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানে রাহুল বলেন, “আমার মনে হয় পুরস্কারটা আমারই পাওয়া উচিত। তবে আমি তো আগেও পেয়েছি তাই হয়তো অন্য কেউকে দেওয়া হবে।” সাজঘরে দিলীপ বলেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক জন সিংহের মতো খেলল। প্রচুর রান বাঁচাল, ডিরেক্ট থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে দিল। সেই সঙ্গে দুর্দান্ত ক্যাচ নিল। আমার মতে সেরা ফিল্ডার জাডেজা।” রাহুল এবং কুলদীপ যাদবেরও প্রশংসা করেন তিনি।