শুরুর দিকে ধোনির সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব ছিল কোহলির। —ফাইল চিত্র
দীর্ঘ দিন খেলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে। পরে নিজেও ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরাট কোহলি পরিণত হয়েছেন মূলত ধোনির জমানাতেই। কেমন সম্পর্ক দুই প্রাক্তন অধিনায়কের? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে জানালেন কোহলি নিজেই।
শুরুর দিকে ধোনির সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব ছিল কোহলির। সেটা খারাপ সম্পর্কের জন্য নয়। দলের তখন জুনিয়র কোহলি। অধিনায়ক ধোনি। তাই কথা বলার সুযোগ হত কম। কোহলি বলেছেন, ‘‘২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে তেমন কথা হত না। দু’জনের সম্পর্ক ততটা খোলামেলা ছিল না। কারণ, তখন আমি খুবই জুনিয়র ছিলাম। এখন আমাদের সম্পর্কের দিকে ফিরে তাকালে বেশ কিছু বিশেষ মুহূর্তের কথা মনে পড়ে।’’
ধোনির সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? কোহলি বলেছেন, ‘‘ধোনির সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ এটা দাঁড়িয়ে রয়েছে বোঝাপড়া এবং বিশ্বাসের উপর। সমর্থকরা আমাদের এক সঙ্গে ব্যাট করতে দেখতে চাইতেন। বড় রান চাইতেন। ধোনি কখনও খুচরো রান নেওয়ার জন্য আমায় ডাকত না। কারণ আমি জানতাম, ফিল্ডারদের মাঝে বল গেলেই ধোনি ২ রান নিতে চাইবে। আমিও ২ রানের জন্য দৌড়তাম। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কখনও ভুল বোঝাবুঝি হয়নি। ১০-১২ বছরে এক বারও হয়নি। সব সময় আমরা দলের কথা ভেবে খেলতাম। একই লক্ষ্য থাকত। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল আমাদের।’’
ধোনির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোহলি আরও বলেছেন, ‘‘বিশ্বাস এবং আস্থার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে আমাদের সম্পর্ক। খেলার বাইরে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব তৈরি হয় ধীরে ধীরে। আমাদের মধ্যে নানা ব্যাপারে কথা হত। পরস্পরের মানসিকতা পরিষ্কার বুঝতাম আমরা। শুরুর দিকে ধোনির কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা আমার বেড়ে ওঠার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরের দিকে আমার অনেক সুবিধা হয়েছে। সব সময় ধোনির পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। নেতৃত্ব বদলের সময়ও আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা হয়নি। বাইরের পৃথিবীর কাছে সেটা অনেকটা আশ্চর্যের মতো ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে বিষয়টা খুব সাধারণ এবং স্বাভাবিক ছিল।’’
কোহলি জানিয়েছেন ধোনি এবং তিনি কখনই কারও সঙ্গে অধিনায়ক সুলভ ব্যবহার করেননি। ধোনি তাঁকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন নিজে থেকেই। বলেছেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত সহজ এবং স্বাভাবিক। আমি কখনও বুঝতে পারিনি ধোনি দলের অধিনায়ক। পরে ওকেও কখনও বুঝতে দিইনি, আমি অধিনায়ক। আমাদের সম্পর্কটা গোটা জীবন উপভোগ করার মতোই।