মগ্ন: ম্যাচের আগের দিন জিমে শারীরচর্চা বিরাট কোহলির। টুইটার
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আরও এক বার পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে পারে ভারত। আগামী রবিবার ‘এ’ গ্রুপের এক নম্বর দল ও ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের মধ্যে ম্যাচ রয়েছে।
আজ, বুধবার হংকংয়ের বিরুদ্ধে জিতলেই সুপার ফোরে ভারতের এক নম্বর স্থান নিশ্চিত হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে শুক্রবার পাকিস্তানকে জিততে হবে হংকংয়ের বিরুদ্ধে। রবিবার তা হলে আরও একটি ভারত-পাক দ্বৈরথ দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু তার আগে রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল ও বিরাট কোহলির ছন্দে ফেরা খুবই জরুরি। হংকংয়ের বিরুদ্ধেই তাঁদের রানে ফেরার সবচেয়ে বড় সুযোগ।
এশিয়া কাপে শেষ বার ভারতের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করেছিল হংকং। ৫০ ওভারে ভারতের ২৮৫ রানের জবাবে হংকং থেমেছিল ২৫৯-৮ স্কোরে। ওপেনার নিজ়াকত খান করেছিলেন ১১৫ বলে ৯২ রান। তিনিই এ বার হংকংয়ের অধিনায়ক। মঙ্গলবার নিজ়াকত জানিয়েছেন, বিরাট কোহলির তিনিও বড় ভক্ত। সে ম্যাচে যদিও খেলেননি বিরাট কোহলি। হংকংয়ের বিরুদ্ধে এ বার দেখা যাবে কিংবদন্তিকে। বড় রানে ফিরতে মরিয়া বিরাট। ম্যাচের আগের দিন গণমাধ্যমে নিজের শারীরচর্চার দু’টি ছবি তুলে ধরেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক। ছবি দেখে ভক্তেরা বলতে শুরু করেছেন, ‘‘বিশ্বের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার।’’
ভারত-পাক ম্যাচে তিনি রান পেলেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কি ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল বিরাটকে? প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইনজ়ামাম-উল-হক মনে করেন, বিরাট তাঁর পুরনো ছন্দে এখনও ফেরেননি। পাক জয়ের নায়ক ছিলেন ব্যাটে-বলে দুরন্ত হার্দিক পাণ্ড্য। সে ম্যাচে সবচেয়ে নজর কেড়েছিল ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার দু’টি সিদ্ধান্ত। প্রথমটি অবশ্যই ঋষভ পন্থকে বসিয়ে দীনেশ কার্তিককে খেলানো। দ্বিতীয়টি চার নম্বরে রবীন্দ্র জাডেজাকে পাঠানো। ভারতীয় অলরাউন্ডার জাডেজা তৈরিই ছিলেন নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য। হংকং ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান দলে একজন লেগস্পিনার ও একজন বাঁ-হাতি স্পিনার ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আমাকে যে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে, সেটা জানতাম। চার নম্বরে ব্যাট করার দায়িত্ব সামলাতে অসুবিধে হয়নি। মানসিক ভাবে আমি তৈরিই ছিলাম।’’ হংকংয়ের বিরুদ্ধেও কি তাঁকে চার নম্বরে নামানো হবে? নাকি দীনেশ কার্তিকের পরিবর্তে দলে জায়গা করে নেবেন ঋষভ পন্থ? এই প্রশ্নগুলো ঘুরছে। ভারতীয় দলে কয়েকটি পরিবর্তন হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিশেষ করে বাড়তি স্পিনার খেলানো হয় কি না, সেটাও দেখার।
তবে পাক ম্যাচের চাপ সামলানো যে সহজ নয়, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন জাডেজা। বলেছেন, ‘‘ভারতের জার্সিতে যে কোনও ম্যাচেই চাপ থাকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তো থাকবেই। কিন্তু দায়িত্ব নিতে জানতে হবে। ব্যাটিং হোক অথবা বোলিং, দলকে সাহায্য করতে পারছি কি না, সেটাই আসল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমি সত্যি খুব খুশি। চাপের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ফিরেছি।’’
জাডেজাকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে আপনার না থাকার কথা উঠেছিল। এই বিষয়ে কিছু কি আপনার কানে এসেছে?’’ জাডেজার উত্তর, ‘‘এটা তো তা-ও ভাল। কয়েক দিন আগে শুনতে পাই যে, আমি নাকি আর বেঁচে নেই! ক্রিকেটারদের নিয়ে গুজব রটেই, তা নিয়ে ভাবলে প্রভাব পড়ে খেলায়।’’