শতরানের উচ্ছ্বাস কোহলীর। ছবি: পিটিআই
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরানের খরা কাটল বিরাট কোহলীর। ১০২০ দিন আগে শেষ বার হেলমেট খুলে ব্যাট তুলেছিলেন আকাশে। সেই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরানের তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন কোহলী। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের থেকে মাত্র একটি শতরান দূরে ছিলেন তিনি। ১০২০ দিন পরে পন্টিংকে ছুঁয়ে ফেললেন কোহলী। তাঁর সামনে এখন শুধু সচিন তেন্ডুলকর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিন করেছেন ১০০টি শতরান। নিয়েছেন ৬৬৪টি ইনিংস। ১০০টি শতরানের মধ্যে টেস্টে ৫১টি ও এক দিনের ম্যাচে ৪৯টি শতরান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোহলী ৭১টি শতরান করেছেন ৪৬৭টি ইনিংসে। তার মধ্যে টেস্টে ২৭টি, এক দিনের ক্রিকেটে ৪৩টি ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটি শতরান রয়েছে তাঁর। পন্টিং ৭১টি শতরান করতে নিয়েছেন ৫৬০টি ইনিংস। টেস্টে ৪১টি ও এক দিনের ক্রিকেটে ৩০টি শতরান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক।
এশিয়া কাপের শুরু থেকেই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছিল বিরাট কোহলীর ব্যাটে। হংকং ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা না খেলায় ওপেন করার সুযোগ পান কোহলী। নিজেকে ক্রিজের মাঝে আরও একটু সময় দেন তিনি। তার পর সময় যত এগোল তত ভয়ঙ্কর দেখাল তাঁকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন। আফগানিস্তান ম্যাচে সুদে আসলে পুষিয়ে নিলেন কোহলী।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্টে শেষ বার শতরান করেছিলেন কোহলী। তার পর থেকে তাঁর ব্যাটে আর ধরা দেয়নি শতরান। অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হয়েছে ক্রমশ। ক্রিকেটপ্রেমীরা চাতক পাখির মতো চেয়ে থেকেছেন কোহলির দিকে। কিন্তু বার বার হতাশ হতে হয়েছে তাঁদের। অবশেষে ১০২০ দিন পর শতরান ধরা দিল কোহলীর ব্যাটে।
কোহলীর বৃহস্পতিবারের শতরান একরাশ স্বস্তি নিয়ে এল ক্রিকেট বিশ্বে। এ দিনও শুরুতে কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন কোহলী। ব্যাটে-বলে ঠিক মতো সংযোগ হতেই হাত খুলে আফগান বোলারদের শাসন করতে শুরু করলেন। শতরান এল ৫৩ বলে। মারলেন ১২টি চার ও ছ’টি ছক্কা। বিরাট ছক্কায় এল বহু কাঙ্খিত শতরান। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত মাঠ ছাড়লেন তিনি।