বিয়ের আংটিতে চুমু খেলেন বিরাট। ছবি: টুইটার থেকে
ফরিদ আহমেদের হাফভলি বলটা ছিল অফস্টাম্পের একটু বাইরে। ব্যাটটা পিছনে নিয়ে গিয়ে সপাটে ছয়টা মারলেন বিরাট কোহলী। ডিপ মিডউইকেট দিয়ে বলটা সীমানার ও পারে পড়তেই হেলমেট খুলে ফেললেন তিনি। এক হাতে হেলমেট, এক হাতে উঁচু করে ধরা ব্যাট। মুখের চওড়া হাসিটাই বলে দিল, কতটা শান্তি পেলেন। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, ১০২০ দিন পরে আবার তাঁর ব্যাট থেকে শতরান এল। কিছু ক্ষণ পরে আঙুলে পরা বিয়ের আংটি এবং গলার চেনে চুমু খেলেন। আচমকাই টিভি ক্যামেরা ধরে ফেলল কোহলীর ঠিক পিছনে দর্শকাসনে থাকা বিষাণ সিংহ বেদিকে। কোহলী দেখতে পেলেন না, তবে অশীতিপর বৃদ্ধ দু’হাত তুলে বার বার সামনে ঝুঁকে পড়ে শুভেচ্ছা জানালেন অনুজকে।
হোক না প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, হোক না এশিয়া কাপের নিয়মরক্ষার ম্যাচ, টি-টোয়েন্টি কোহলীর শতরান দেখার জন্যে যে কোনও ম্যাচেই মাঠে আসা যায়। অথচ দুবাইয়ের দুর্ভাগ্য, নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলে মাঠে কেউই ভিড় জমাতে উৎসাহ দেখালেন না। দু’দলের জাতীয় সঙ্গীতের সময় দু’দলের জার্সির সঙ্গে গ্যালারির ফাঁকা আসনের নীল রং আলাদা করা যাচ্ছিল না। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর কেউ কেউ এলেন বটে, তা-ও দু’-আড়াই হাজারের বেশি নয়। যাঁরা এলেন না, তাঁরা হয়তো সারাজীবন আক্ষেপ করবেন।
কোহলী যে এ রকম একটা ম্যাচে শতরান পেতে পারেন, সেটা কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি। বিশেষত আগের ম্যাচে দিলশান মদুশঙ্কের বলে ও ভাবে উইকেট ছত্রখান হয়ে যাওয়ার পর। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকবে তাঁর। কোহলী বুঝিয়ে দিলেন, তিনি অন্য ধাতের মানুষ। অনেক দিন ধরেই বলা হচ্ছিল, কোহলীর শতরান সময়ের অপেক্ষা। সেই সময়টাই কিছুতে আসছিল। অর্ধশতরান করছেন, ৭০-৮০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন। কিন্তু তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারছেন না। সেই খরা কাটল দুবাইয়ে। ইডেন গার্ডেন্সে দিন-রাতের টেস্টে শেষ বার কোহলীর ব্যাট থেকে শতরান পাওয়া গিয়েছিল। দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আবার তাঁর থেকে পাওয়া গেল শতরান।