বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
নেদারল্যান্ডসের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষ সামনে। তার উপর নিজের ‘ঘরের মাঠ’ বেঙ্গালুরুতে খেলা। আপামর ক্রিকেটপ্রেমী প্রত্যাশা করেছিলেন ৫০তম শতরান রবিবারই হয়ে যাবে। কোহলি টপকে যাবেন সচিন তেন্ডুলকরকে। কিন্তু রবিবাসরীয় দুপুরে হতাশ করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। মাত্র ৫১ রানেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। তার উপরে এমন শট খেলে আউট হলেন, যা সাধারণত তাঁর থেকে প্রত্যাশিত নয়।
শুভমন গিল ফিরতেই বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চিলচিৎকার। কারণ ব্যাট করতে নামছেন কোহলি। এই বেঙ্গালুরুতে দীর্ঘ ১৫ বছরের আইপিএল কেরিয়ারে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেঙ্গালুরুর এই মাঠে কোহলির রেকর্ড মোটেই আকর্ষণীয় নয়। এর আগে ছ’টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন এই মাঠে। তার মধ্যে শেষ ম্যাচটিতেই (বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০২০) একটি অর্ধশতরান রয়েছে। একটি শতরান রয়েছে টেস্টে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে গড় মাত্র ২৬।
সেই ধারা বজায় থাকল রবিবারেও। শুরু থেকেই কোহলিকে ক্রিজে সাবলীল দেখাচ্ছিল না। কিছুটা জড়তা লক্ষ করা যাচ্ছিল তাঁর খেলার মধ্যে। নেদারল্যান্ডসের যে বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করেছেন বেশির ভাগ বড় দেশের ক্রিকেটারেরা, তাঁদের বিরুদ্ধে কোহলির মন্থর খেলা চোখেও লাগছিল। ১৪তম ওভারে ফান মিকেরেনের একটি বলে প্রায় ক্যাচ উঠেই গিয়েছিল। কিন্তু ফিল্ডার না থাকায় সে যাত্রা বেঁচে যান। দু’ওভার পরে আবার একই দৃশ্য। এ বার বোলার বাস দি লিড। লং অফের উপর দিয়ে বল ওড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু টাইমিং ঠিক না হওয়ায় মিড উইকেটে বল যায়।
স্বচ্ছন্দ না হওয়ায় কোহলির রান এবং বলের মধ্যে ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছিল। কোহলির ব্যাট থেকে প্রথম ছয় আসে ২২তম ওভারে। লগান ফান বিককে পর পর দু’বলে ছয় এবং চার মেরে কিছুটা স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নেন কোহলি। এর পরে দু’একটি চার এবং খুচরো রান নিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। বল এবং রানের ব্যবধানে তখন অনেকটাই কমে এসেছে। চিন্নাস্বামীও গর্জে উঠেছে চেনা ছন্দের কোহলিকে পেয়েই।
সেই সময়েই ছন্দপতন। অনেক ক্ষণ ধরেই কোহলিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছিলেন রোয়েলফ ফান ডার মারউই। ২৯তম ওভারে চতুর্থ বলে হঠাৎই কোহলি উইকেট ছেড়ে কাট করতে গেলেন। এ বারও টাইমিং ঠিকঠাক হল না। বল ভেঙে দিল অফস্টাম্প। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম তখন নিস্তব্ধ। ৫০-এর অপেক্ষা আরও বাড়ল ভারতবাসীর। অন্তত বুধবার পর্যন্ত তো বটেই।