অর্থকষ্টে রয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। ফাইল চিত্র
আগের দিন আকণ্ঠ মদ্যপান করে পরের দিন মাঠে নেমে শতরান করেছেন। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধাক্কা মেরেছেন আবাসনের দেওয়ালে। মদ ছাড়া থাকতে পারেন না। এ বার সেই মদ ছাড়তেও রাজি বিনোদ কাম্বলি। বদলে একটা চাকরি চান তিনি। চরম অর্থকষ্টে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরের বন্ধু। বিসিসিআইয়ের পেনশনে সংসার চালাতে পারছেন না তিনি।
মদ্যপানের অভ্যাস থাকায় অতীতে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কাম্বলি। তিনি চান না, মদ্যপানের জন্য চাকরি পেতে কোনও সমস্যা হোক। সংবাদমাধ্যমে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘সব জায়গার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকে। সবাইকে তা মেনে চলতে হয়। যদি আমাকে চাকরি করতে হলে মদ ছেড়ে দিতে হয়, তা হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা করব। কোনও সমস্যা হবে না। আমার কাজ দরকার।’’
২০১৯ সালে মুম্বই টি-টোয়েন্টি লিগে একটি দলের কোচ ছিলেন কাম্বলি। তার পর আর কোনও কাজ পাননি। সম্পূর্ণ বেকার। অনেক দিন ধরে একটা কাজ খুঁজছেন কাম্বলি। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন, এমন কাজই তাঁর পছন্দ। বাল্যবন্ধু সচিন তাঁর জন্য একটি কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন। নিজের তেন্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে তরুণ ক্রিকেটারদের মেন্টর হিসাবে নিয়োগ করেন কাম্বলিকে। কিন্তু দূরত্বের কারণে নিজেই সেই কাজ ছেড়ে দেন কাম্বলি। তার পর থেকে আর নির্দিষ্ট কোনও আয় নেই তাঁর।
প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসাবে বোর্ডের কাছে মাসে ৩০ হাজার টাকা পেনশন পান কাম্বলি। কিন্তু তাতে মুম্বইয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। অন্য কাজের চেষ্টাও করেছেন। কাম্বলি বলেছেন, ‘‘মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারব, এমন কোনও কাজ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। আমাকে ক্রিকেট উন্নয়ন কমিটির সদস্য করা হয়। কিন্তু এই পদটা সাম্মানিক। নিজের সমস্যার কথা অনেক বার জানিয়েছি এমসিএ কর্তাদের। সভাপতি এবং সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু তেমন আশ্বাস পাইনি।’’