শতরানের পর খোয়াজা। ছবি টুইটার
আগের টেস্টে অল্পের জন্য সুযোগ ফস্কে গিয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্টে সেই ভুল আর করলেন না উসমান খোয়াজা। অবশেষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বহু কাঙ্ক্ষিত শতরান করলেন তিনি। যে দেশে জন্মেছেন, সেই দেশের বিরুদ্ধেই শতরান করলেন। ক্রিকেটজীবনে একটা বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হল।
ছোটবেলায় রাওয়ালপিন্ডিতে অনেক দিন ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছেন। নিজেও অল্পবিস্তর ক্রিকেট খেলেছেন। সেই রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন তিনি। মাত্র তিন রানের জন্য শতরান পাননি। কিন্তু করাচিতে প্রথম দিন শুরু থেকেই যেন প্রতিজ্ঞা করে নেমেছিলেন যে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছবেন। সেই সময়টা এল ৬৪ ওভারে। সাজিদ খানের পঞ্চম বল স্কোয়্যার লেগে ঠেলে দিয়ে নিজের শতরান পূর্ণ করেন তিনি।
দল থেকে বার বার বাদ পড়েছেন, আবার ফিরে এসেছেন। খোয়াজার জীবনটাই উত্থান-পতনে ভরা। যত বার তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে, ফিরে এসে মুখের উপর জবাব দিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল খোয়াজার। প্রথম মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্ট খেলেন তিনি। পাশাপাশি পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটার হিসেবে তিনিই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেন।
দু’বছর পরেই দল থেকে নির্বাসিত হন শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ। তখনকার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০১৩-তেই অ্যাশেজ সিরিজে ফিরেছিলেন। আবার বাদ পড়েন। দু’বছর পর টেস্ট দলে ফেরেন। ফিরেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করেন। পরের পাঁচটি টেস্টে আরও তিনটি শতরান করেন তিনি। মাতৃভূমি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন ২০১৬-য় গাব্বায়। পরের টেস্টেই অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের পর থেকে টানা তিন বছর সুযোগ পাননি জাতীয় দলে। কিছুটা অবাক করা ভাবেই বছরের শুরুতে সিডনি টেস্টে জায়গায় পান। ট্রাভিস হেড চোট পাওয়ায় দলে জায়গা মেলে তাঁর। সিডনি টেস্টে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখেন দু’ইনিংসেই শতরান করে। যদিও পরের টেস্টে ভাল খেলতে পারেননি। কিন্তু সিডনি টেস্টে ওই পারফরম্যান্স তাঁকে পাকিস্তান সফরের দলে জায়গা করে দেয়। প্রথম টেস্টে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্ট স্মরণীয় করে রাখলেন শতরান করেই।