উদয় সাহারান। —ফাইল চিত্র।
দেশকে ফাইনালে তুলে বাবার কথা মনে পড়ছে তাঁর। মনে পড়ছে বাবার মন্ত্র। যে মন্ত্রে ভর করে ভারতকে ফাইনালে তুলেছেন উদয় সাহারান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে তাঁর ব্যাট। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। কিন্তু তখনও তিনি ভুলতে পারছেন না সেই মন্ত্র। ক্রিকেটে ‘ব্যর্থ’ বাবার কোন মন্ত্র তাঁকে জিততে শিখিয়েছে সে কথাও বলেছেন তিনি।
সেমিফাইনালে ৮১ রান করে দলকে জেতানোর পরে সঞ্চালক উদয়কে প্রশ্ন করেন, কী ভাবে চাপের মধ্যেও মাথা ঠিক রেখেছিলেন তিনি? কী ভাবে দৌড়ে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন? জবাবে উদয় বলেন, ‘‘এটা আমার বাবার কাছে শেখা। বাবাও ক্রিকেটার ছিলেন। ওঁকে দেখেছি খেলতে নামলে বড় শট না মেরে দৌড়ে রান নিতে। ইনিংস তৈরি করতে। বাবার সেই শিক্ষা আমাকে ইনিংস গড়তে সাহায্য করেছে।” উদয়ের বাবা সঞ্জীব সাহারানও ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। তাই ছেলের মধ্যে দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছেন।
লড়াই করেছেন উদয়। তিনি জানেন, লড়াই করলে সাফল্য আসবেই। এসেছেও। ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তিনি ও সচিন ধাস ১৭১ রানের জুটি গড়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে এটি সর্বাধিক রানের জুটি। সেই সময় তাঁরা কী ভাবছিলেন তা জানাতে গিয়েই লড়াইয়ের কথা বলেন উদয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ঠিক করেছিলাম শেষ পর্যন্ত খেলব। সেটাই সচিনকে বলেছিলাম। আমরা জানতাম শেষ পর্যন্ত খেললে রান উঠবেই। শেষ পর্যন্ত খেললে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়ব। লড়াই না করে ফিরব না বলে ঠিক করেছিলাম। সেটাই দু’জনে করেছি।”
তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন ১২ রানে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছে ভারতের। পরে আরও দুই ব্যাটার আউট হন। চাপে পড়লেও সাজঘরের পরিবেশ ঠিক ছিল বলেই জানিয়েছেন উদয়। তিনি বলেন, “আমাদের দলের কোচ (ভিভিএস লক্ষ্মণ) ও সাপোর্ট স্টাফেরা খুব ভাল। ওঁরা কোনও সময় পরিস্থিতি খারাপ হতে দেন না। সাজঘরে সবাই খোলা মনে থাকে।”
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম বার টসে জিতে প্রথমে বল করেছে ভারত। প্রথম বার ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। ফাইনালের আগে এই চাপটা দরকার ছিল বলে মনে করেন উদয়। তিনি বলেন, “ফাইনালের আগে একটা কঠিন ম্যাচ খেললাম। এতে আমাদের ভালই হল। আশা করছি এই চাপ সামলে ফাইনালে ভাল খেলতে পারব।”