রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে রাজি নন রাহুল দ্রাবিড়। সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তাদের। কিন্তু বিসিসিআই কর্তারাও তাঁকে ছাড়তে রাজি নন। দ্রাবিড়ের সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তাঁর মত বদল করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
বিশ্বকাপের পর বিশ্রামে রয়েছেন দ্রাবিড়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ। ডিসেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ় খেলতে ভারতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার কথা। সেই সিরিজ়ে তো বটেই, আরও বেশ কিছু দিন দ্রাবিড়কেই কোচ হিসাবে চাইছেন বোর্ড কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হতে পারেন দ্রাবিড়। কথাবার্তাও প্রায় চূড়ান্ত। কারণ কিছুটা হালকা দায়িত্বে থাকতে চাইছেন তিনি। তবে বিসিবিআই কর্তারা লখনউয়ের প্রায় পাকা ঘুঁটি কাটতে মাঠে নেমে পড়েছেন।
আগামী বছর রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা দলের কোচিং স্টাফদের অন্তত সেই পর্যন্ত ধরে রাখতে মরিয়া বোর্ড কর্তারা। সূত্রের খবর, দ্রাবিড়কে রাজি করাতে মাঠে নেমেছেন বোর্ডের শীর্ষ স্তরের কর্তারা। দ্রাবিড়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকও করেছেন তাঁরা। দ্রাবিড়ের সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি ছিল বোর্ডের। বিশ্বকাপের পরেই সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার নতুন করে চুক্তি করতে চাইছেন বোর্ড কর্তারা।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘বোর্ডের কয়েক জন কর্তা দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁরাই পরিস্থিতি সম্পর্কে সব থেকে ভাল জানেন। আমরা দ্রাবিড়ের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হাতে সাত-আট মাস সময় রয়েছে। এত কম সময়ে নতুন কোচের পক্ষে দল তৈরি করা কঠিন। দ্রাবিড় দলের সঙ্গে দু’বছর ধরে রয়েছে। তাঁর সব কিছুই জানা। তাই তাঁকেই কোচ হিসাবে চাইছি আমরা।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা রোহিত শর্মাকেও অধিনায়ক রাখতে চাই। অন্তত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচ-অধিনায়কের এই জুটিই থাকুক দায়িত্বে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’
দ্রাবিড় একান্তই রাজি না হলে লক্ষ্মণকেই হয়তো দেখা যাবে জাতীয় দলের পাকাপাকি দায়িত্বে। সেই সম্ভাবনা খোলা রেখেই এগোচ্ছেন বিসিসিআই কর্তারা।