ধোনিকে ব্যাট হাতে টপকে গেলেন সাউদি। ফাইল ছবি।
অলরাউন্ডার হলেও ক্রিকেট বিশ্বে বোলিংয়ের জন্যই বেশি পরিচিত নিউ জ়িল্যান্ডের টিম সাউদি। অথচ ব্যাট হাতে টপকে গেলেন টেস্ট ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির একটি নজির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ৪৯ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে সাউদি টপকে গেলেন ধোনিকে।
বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করেন নিউ জ়িল্যান্ডের অধিনায়ক। ৭৩ রানের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কা দিয়ে। তাঁর দাপুটে ব্যাটিংয়ের সুবাদেই টপকে গিয়েছেন ধোনি-সহ তিন ক্রিকেটারকে। এই ইনিংসে ৬টি ছক্কা মারার ফলে টেস্ট ক্রিকেটে সাউদির ছয়ের সংখ্যা হল ৮২টি। টেস্টে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের মোট ছয়ের সংখ্যা ৭৮টি।
ধোনির পাশাপাশি আরও দুই ক্রিকেটারকে টপকে গিয়েছেন সাউদি। তাঁরা হলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন এবং পাকিস্তানের মিসবা উল হককে। টেস্টে পিটারসেন এবং মিসবার ছক্কার সংখ্যা ৮১। আর একটি ছক্কা মারলে সাউদি টপকে যাবেন আরও দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। তাঁরা হলেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেডেন এবং ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। সাউদির মতোই টেস্ট ক্রিকেটে তাঁদের ৮২টি করে ছক্কা রয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেটে সব থেকে বেশি ছক্কা মারার তালিকায় সাউদি রয়েছেন যুগ্ম ভাবে নবম স্থানে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস। তিনি এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ১০৯টি ছয় মেরেছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ১০৭টি এবং তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ছয়ের সংখ্যা ১০০টি। চতুর্থ থেকে অষ্টম স্থান পর্যন্ত রয়েছেন ক্রিস গেল (৯৮), জ্যাক কালিস(৯৭), বীরেন্দ্র সহবাগ (৯১), ব্রায়ান লারা (৮৮), ক্রিস কেয়ার্নস (৮৭) এবং ভিভ রিচার্ডস (৮৪)।
প্রথম টেস্টে হারের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেও কোণঠাসা আয়োজক নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটে ৪৩৫ রানের জবাবে নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২০৯ রানে। সাউদি পাল্টা আক্রমণ না করলে আয়োজকদের অবস্থা আরও করুণ হত।