ব্যর্থ রাহুলকে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শাস্ত্রী। ফাইল ছবি।
লোকেশ রাহুলের ছন্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁকে খেলিয়ে যাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার। রাহুলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। তাঁর মতে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে দলের মধ্যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন রাহুল।
খারাপ সময়ে রাহুলের পাশে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁদের যুক্তি, খারাপ সময় সব খেলোয়াড়ের জীবনেই আসে। রাহুলেরও এসেছে। এই সময় দল রাহুলের পাশে রয়েছে। তবু এই পাশে থাকার মাশুল দিতে হচ্ছে দলকে। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের তিন ইনিংসে রাহুলের গড় ১২.৬৭। শেষ পাঁচটি টেস্ট ইনিংসের একটিতেও ৩০ রানও করতে পারেননি। অথচ সাজঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে ছন্দে থাকা তরুণ ওপেনার শুভমন গিলকে।
আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘সহ-অধিনায়ক খেলতে না পারলে অন্য কেউ তার জায়গা নিয়ে নেবে। এই ব্যাপারে আমি কিছুটা নিষ্ঠুর। ঘরের মাঠে সহ-অধিনায়ক আমার পছন্দ নয়। বিদেশ সফরে ব্যাপারটা আলাদা। ঘরের মাঠে সেরা পারফরম্যান্সই আশা করি। ছন্দে থাকা শুভমনের মতো তরতাজা কাউকে দরকার। যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে। ওর জন্য দরজা খুলে দেওয়া উচিত। আর রাহুল এখন সহ-অধিনায়ক নয়। সিদ্ধান্তটা দলকেই নিতে হবে।’’
এখানেই থামেননি শাস্ত্রী। দল পরিচালন কমিটিরও মৃদু সমালোচনা করেছেন। শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘দল পরিচালন কমিটিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওরা জানে রাহুল কেমন ছন্দে রয়েছে। কেমন ওর মানসিক অবস্থা। ওরা এটাও জানে শুভমনের মতো ক্রিকেটারকে কী ভাবে দেখা উচিত।’’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট সিরিজ়ে শতরান করেছিলেন শুভমন। পরে ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শতরান করেছিলেন তিনি। অনবদ্য ছন্দে থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি টেস্টে ভারতের প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি শুভমনের।
দলে সহ-অধিনায়ক রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় এক জন নেতায় বিশ্বাস করেছি। ভারতের মাটিতে খেলার সময় কখনও সহ-অধিনায়ক হিসাবে কাউকে চাইনি। আমি সব সময় সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামার পক্ষে। যদি কখনও অধিনায়ককে মাঠ ছাড়তে হয়, সেই সময় এমন কাউকে দায়িত্ব দিতে হচ্ছে যার অবদান শূন্য। এই জটিলতা তৈরি করার দরকার কী?’’
শাস্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন এই ধরনের ঘটনায় দলের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। শুধু সহ-অধিনায়ক বলে এক জনকে খেলিয়ে যাওয়ার অর্থ হয় না। এ বার দ্রাবিড়, রোহিতদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে বলেই মত তাঁর। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দুই টেস্টের জন্য ঘোষিত দলে রাহুলকে সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।