সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
রান পাচ্ছিলেন না সূর্যকুমার যাদব। সমালোচনা হচ্ছিল। নিজেও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ফর্মে ফেরার জন্য। মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে অবশেষে রান পেলেন সূর্য। কিন্তু রান করার জন্য যে পরিকল্পনা করেছিলেন, মাঠে নেমে ঠিক তার উল্টোটা করেছিলেন। মাঠে নামার আগে রিস্ট ব্যান্ডে লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন পাওয়ার প্লে-তে বল দেখে খেলবেন। কিন্তু সেটা করেননি। ম্যাচ শেষে সূর্যকে সেই নিয়েই প্রশ্ন করলেন তিলক বর্মা।
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮৩ রান করেন সূর্যকুমার। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক। ম্যাচ শেষে এই দুই ব্যাটার আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে তিলক বলেন যে, সূর্য রিস্ট ব্যান্ডে লিখে নেমেছিলেন, দেখেশুনে খেলবেন। কিন্তু খেলার সময় সেটা হয়নি। সূর্য বলেন, “কখনও কখনও নিজেকে অসত্য বলতে হয়। আজ মাঠে নিজেকেই বোকা বানিয়ে দিয়েছি। ভেবেছিলাম ব্যাট করতে নেমে কিছুটা সময় নেব। বল দেখে খেলব। কিন্তু প্রথম দুটো বল ব্যাটে ঠিক মতো লাগতেই মনে হয়, দলের যেটা প্রয়োজন সেই ভাবে খেলব। যেটা পারি সেটাই করার কথা মনে হল। আলাদা কিছু করতে গেলে হয়তো আউট হয়ে যেতাম। খেলাটা উপভোগ করছিলাম।”
তিলক পর পর তিনটি ম্যাচেই ভাল খেলেছেন। সেই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন সূর্য। উত্তরে তিলক বলেন, “আমি আসলে উল্টো দিকে সূর্যের ব্যাটিং দেখছিলাম। পিচ মন্থর ছিল। সেখানে কাট মারছে, অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্কোয়ার লেগে মারছে। বুঝতেই পারছিলাম না কী করে এমন ব্যাট করছে। সেটা দেখেই ইচ্ছা হচ্ছিল আক্রমণাত্মক খেলার। ম্যাচ শেষ করে আসতে চেয়েছিলাম। সূর্য ভাইয়ের সঙ্গেও সেটাই কথা হয়েছিল।”
সূর্য এবং তিলক ৮৭ রানের জুটি গড়েন। তিলক ব্যাট করতে নামলে সূর্য তাঁকে ধরে খেলার কথা বলেছিলেন বলে জানালেন। সূর্য বলেন, “আমি যে তোমাকে ধরে খেলতে বলেছিলাম। সেটা শুনে খারাপ লাগেনি তো?” উত্তরে তিলক যদিও বলেন, “তুমি তো এমন কিছু বলনি।” সূর্য বলেন, “তিলক খুব পরিণত ইনিংসে খেলেছে। এই ভাবে খেলেছে বলেই আমি আক্রমণাত্মক খেলতে পেরেছি। সেটা আমি ওকে বলেওছি।”
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিত ম্যাচ শনিবার। পরের দিনই শেষ ম্যাচ। এই দুটি ম্যাচেই জিততে হবে ভারতকে। না হলে সিরিজ় হাতছাড়া হয়ে যাবে।