ICC ODI World Cup 2023

৩ বিষয়: বুধবার মুম্বইয়ে খেলতে নেমে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে যা মাথায় রাখতে হবে দুই দলকেই

ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ জিতেছিল ধোনির ভারত। সেই মাঠে বুধবার খেলতে নামবেন রোহিতেরা। গ্রুপ পর্বে নিউ জ়িল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা। বুধবার ওয়াংখেড়েতে কোন তিনটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে দুই দলকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৫
Share:

বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে লড়াই ভারত-নিউ জ়িল্যান্ডের। —ফাইল চিত্র।

আরও এক বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে সেই ম্যাচে মাঠে নামার আগে দুই দলের সব ক্রিকেটারকেই মাথায় রাখতে হবে তিনটি জিনিস। এই মাঠেই বিশ্বকাপ জিতেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। সেই মাঠে বুধবার খেলতে নামবেন রোহিত শর্মারা। এই দলের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে হারতে হয়েছিল নিউ জ়িল্যান্ডকে। সেই ম্যাচ খেলতে নামার আগে দুই দলকে কোন তিনটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

Advertisement

প্রথমে ব্যাট করলে লাভ

এ বারের বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করলে বেশি রান উঠছে। গড়ে প্রতি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করলে উঠেছে ৩৫৭ রান। আফগানিস্তান মুম্বইয়ের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ২৯১ রান। ওই ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি তিনটি ম্যাচেই প্রথমে ব্যাট করা দল ৩৫০ রানের বেশি তুলেছে। শিশির এবং আলোর নীচে রান তাড়া করা সহজ মনে করে মুম্বইয়ের মাঠে ইংল্যান্ড আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই ম্যাচে ৩৯৯ রান তুলে দেয় প্রথমে ব্যাট করে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে। সেই ম্যাচে তারা তোলে ৩৮২ রান। প্রথমে ব্যাট করলে ওয়াংখেড়েতে যে বড় রান উঠবে তা বলাই যায়। কিন্তু তাই বলে শুরু থেকে যে রান উঠবে এমনটা নয়। এখনও অবধি হওয়া চারটি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে-তে কিন্তু খুব বড় রান ওঠেনি। ব্যাটারদের প্রথম দিকটা দেখে খেলতে হয়েছে। শেষের পাওয়ার প্লে-তে আবার প্রচুর রান উঠেছে। এটা প্রমাণ করে যে, যত সময় এগোবে, ওয়াংখেড়েতে ব্যাট করা তত সহজ হবে।

Advertisement

মুম্বইয়ের পিচ

নিউ জ়িল্যান্ডের দুই ওপেনার ফর্মে রয়েছেন। তাঁদের আউট করতে গেলে একটু ঝুঁকি নিতে হবে ভারতীয় পেসারদের। রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ে মিলে ৮৭২ রান করেছেন। এর মধ্যে কনওয়ে মাত্র দু’বার এলবিডব্লিউ হয়েছেন। রাচিন এক বার বোল্ড হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা পায়ে আসা কোনও বলই প্রায় ফস্কান না। এমন অবস্থায় ওয়াংখেড়ের পিচকে কাজে লাগাতে পারেন ভারতীয় বোলারেরা। দুই কিউই ওপেনার ক্রস ব্যাটে খেলেন। কনওয়ে যদি অফসাইডে রান না পান, তাহলে তাঁর ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে খেলার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আর ওয়াংখেড়েতে এই ধরনের শট খেলতে গিয়ে আউট হওয়ার সংখ্যা অনেক। তাই শুরুর দিকে ওয়াংখেড়েতে কনওয়েকে এগিয়ে এসে খেলানোর চেষ্টা করতে পারেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা। রাচিন আবার বেশি আউট হয়েছেন উইকেটের পিছনে, তা-ও আবার লেগ সাইডের বল খেলতে গিয়ে। অথবা আউট হয়েছেন মিড উইকেটের উপর দিয়ে পুল করতে গিয়ে। ওয়াংখেড়েতে বাঁহাতি ব্যাটারদের পুল করতে গিয়ে আউট হওয়ার সংখ্যা ৩৬ বলে চারটি। তাই রাচিন ব্যাট করতে এলে তাঁর শরীর লক্ষ্য করে বল করতেই পারে ভারত।

পেসারদের বলের লেংথ

বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচে যে ৫৮টি উইকেট পড়েছে তার মধ্যে ৪৭টি উইকেটই নিয়েছেন পেসারেরা। ওয়াংখেড়েতে পেসারেরা বেশি ডট (যে বলে রান হয়নি) দিয়েছেন আবার স্পিনারদের থেকে বেশি বাউন্ডারিও। ফলে এটা পরিষ্কার যে, লেংথ ভুল হলে ব্যাটারেরা মারার সুযোগ পাবেন। আর বল পুরনো হলেও ওয়াংখেড়েতে খুব একটা সুইং বা সিমের বদল হয় না। তাই লেংথ ঠিক রাখা জরুরি। পেসারেরা যে ৪৭টি উইকেট এ বারের বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে নিয়েছেন, তার মধ্যে ১৫টি এসেছে ৬-৮ মিটারে বল করে (ব্যাটিং ক্রিজ থেকে)। টেস্ট ক্রিকেটে এই লেংথে বল করতে দেখা যায়। বুমরা এই লেংথে বল করতে পছন্দ করেন। তাই ওয়াংখেড়েতে বুমরাকে খেলা কঠিন হয়। শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার নিউ জ়িল্যান্ডকেও সেই সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারেন তিনি। তবে কিউই পেসারেরাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। সেই দলেও ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদির মতো পেসার রয়েছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই দুই দলের ব্যাটারদেরই বিপক্ষের পেসারদের সামলে খেলতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement