সাংসদ শতাব্দী রায় বক্তব্য রাখছেন সিউড়ি ১নং ব্লকের আলুন্দা গ্রামের শক্তিপুর গ্রামের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডল জামিনে ছাড়া পেয়ে জেলায় ফেরার পরেই বিভিন্ন দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়বে বলে আশঙ্কা ছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের। প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের কথা না-মানলেও দলে ‘বিশৃঙ্খলা’ হচ্ছে বলে মানলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বললেন, বীরভূমের ‘কেষ্টদা’ ফেরায় কিছু মানুষের কম উচ্ছ্বাসও রয়েছে।
শুক্রবার সিউড়ি ১ ব্লকের আলুন্দা পঞ্চায়েত এলাকায় একটি মুক্তমঞ্চের উদ্বোধনে এসে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী বলেন, “অনেক দিন পরে কেষ্টদা ফিরেছে। এতে কিছু মানুষের উচ্ছ্বাস বেশি রয়েছে, কিছু মানুষের কম রয়েছে। এই সব মিলিয়ে হয়তো একটু বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। ঠিক হয়ে যাবে এটা।” যদিও বৃহস্পতিবার শ্রীনিকেতনে দলীয় কার্যালয় ‘দখলের’ অভিযোগকে কেন্দ্র করে অনুব্রত অনুগামী এবং কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদের বিষয়টি নিয়ে কিছুটা অবাক সাংসদ। তিনি বলেন, “কেষ্টদা আর চাঁদুদার মধ্যে কোনও গোষ্ঠী আছে বলে শুনিনি, ওঁরা তো একই। এত বছর ধরে এত বন্ধুত্ব, এত দিনের সম্পর্ক, ওঁদের মধ্যে গোষ্ঠী কী করে তৈরি হয়!”
নিজের সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে আলুন্দা পঞ্চায়েতের শক্তিপুর গ্রামে একটি মুক্তমঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন শতাব্দী। এ দিন সেই মঞ্চ উদ্বোধনে এসেছিলেন তিনি। গ্রামের চাহিদা মেটাতে পেরে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে খু্শি বলেও জানান সাংসদ। একই সঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকা আলুন্দা পঞ্চায়েতে আগামী দিনে মানুষ 'একই রকম ভালবাসা বজায় রাখবে' বলেও আশা প্রকাশ করেন শতাব্দী।