রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) এবং বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রতি কিছুটা অনুযোগের সুরে সুনীল গাওস্কর জানিয়েছিলেন, এখনকার ক্রিকেটারেরা কেউ তাঁর কাছে সাহায্যের জন্যে আসেন না। সেই প্রসঙ্গে এখনকার ভারতীয় ক্রিকেটারদের আরও চড়া সুরে আক্রমণ করলেন কপিল দেব। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ীর মতে, আধুনিক ক্রিকেটারেরা সবাই প্রচুর জানেন। তাই প্রাক্তনদের পরামর্শ নেওয়ার কথা ভাবেনই না তাঁরা।
এক সাক্ষাৎকারে কপিল বলেছেন, “এখনকার ভারতীয় ক্রিকেটারেরা মনে করে ওরাই সব জানে। জানি না কী ভাবে এর থেকে ভাল কথা বলব। ওরা ভাবে, নিজে যা জানে সেটাই সব। বাকি কারওকে কিছু জিজ্ঞাসা করা বা পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করে না। বুঝতেও পারে না যে একজন অভিজ্ঞ মানুষ সাহায্য করলে ওদেরই উপকার হতে পারে। এই ক্রিকেটারদের কেবল একটাই গুণ রয়েছে, ওরা আগের থেকে আত্মবিশ্বাসী।”
কপিল এর পিছনে আইপিএলকেই দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, আইপিএলে এখনকার তরুণ ক্রিকেটারদের অহঙ্কারী করে তুলেছেন। কপিলের কথায়, “কখনও সখনও হাতে প্রচুর টাকা চলে এলে অহঙ্কার তৈরি হয়। এই ক্রিকেটারেরা সে কারণেই নিজেদের বিরাট বোদ্ধা ভাবে। অনেক ক্রিকেটারকেই দেখতে পাই যাদের সাহায্যের দরকার। সামনে যেখানে সুনীল গাওস্করের মতো ক্রিকেটার রয়েছে, তখন কেন তুমি সাহায্য চাইবে না? আত্মসম্মানে বাধে নাকি? আসলে ওরা মনে করে নিজের জ্ঞানটাই যথেষ্ট। এটা বোঝে না যে, একটা লোক যে ক্রিকেটকে ৫০ বছর ধরে চোখের সামনে দেখেছে সে তোমার থেকে ভাল জানে।”
প্রসঙ্গত, এক সাক্ষাৎকারে গাওস্কর জানিয়েছিলেন, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা কোনও দিন তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আগে সচিন, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণেরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। ওদের কোনও সমস্যা হলে আমার পরামর্শ নিত। আমার পরামর্শ দিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তার জন্য তো আমার কাছে আসতে হবে। এখন আর কেউ আমার কাছে আসে না। হতে পারে নিজেরাই সমস্যা সমাধান করতে পারে ওরা।’’
এই প্রসঙ্গে বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রসঙ্গ টেনেছেন গাওস্কর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এক বার হঠাৎ সহবাগকে ফোন করে বলেছিলাম ওর ব্যাটিং গার্ডে বদল করতে। আগে ও লেগস্টাম্প গার্ড নিয়ে খেলত। ওকে বলেছিলাম অফস্টাম্প গার্ড নিতে। তা হলে অফস্টাম্পের বাইরের বল ছাড়তে ওর সুবিধা হত। সহবাগ আমার কথা শুনেছিল। কিন্তু এখন কি কেউ শুনবে!’’