স্টুয়ার্ট ব্রড। ছবি: রয়টার্স।
শুক্রবার অ্যাশেজ়ের ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্টাম্পের দু’টি বেলের জায়গা অদলবদল করে অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেনকে আউট করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। সেই প্রসঙ্গে ম্যাচের পর মুখ খুললেন ইংরেজ বোলার। জানালেন, অস্ট্রেলিয়ার একটি পুরনো প্রবাদ মনে করেই এই কাজ করেছিলেন তিনি। তা কাজে লেগেছে দেখে তিনি খুশি।
ম্যাচের পর ব্রড বলেছেন, “আমি শুনেছিলাম এ রকম করলে নাকি ভাগ্য বদলে যায়। আগে নেথান লায়নকে এই কাজ করতে দেখেছিলাম। আসলে সকালের সেশনে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাই একটা উইকেট খুব দরকার ছিল। আমি ভেবেছিলাম, এক বার বেল বদলে দেখাই যাক না হয়। খুব ভাল ভাবে সেটা কাজে লেগে গেল। পরের বলেই লাবুশেন খোঁচা দিল এবং রুট দারুণ একটা ক্যাচ নিল।”
তবে সেই কাজের জন্যে হুঁশিয়ারিও শুনতে হয়েছে ব্রডকে। সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন লাবুশেনের সতীর্থ ক্রিকেটার উসমান খোয়াজা। ব্রডের কথায়, “লাবুশেন আউট হওয়ার পর আমি গিয়ে উজির (খোয়াজা) সঙ্গে উচ্ছ্বাস করতে শুরু করি। ও কিন্তু বিষয়টা মোটেও ভাল ভাবে নেয়নি। আমাকে বলল, ‘যদি তুমি আমার সঙ্গে এমন কিছু করতে যাও, তা হলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমি বেলের জায়গা বদলে দেব।’ আমাকে সঙ্গে সঙ্গে সাবধান করে দিয়েছিল খোয়াজা।”
শুক্রবার খেলা তখন শুরু হয়েছিল। একটি ঘণ্টা কেটে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়ছিল না। ক্রিজ কামড়ে খেলছিলেন উসমান খোয়াজা এবং লাবুশেন। ৪৩তম ওভার চলাকালীন হঠাৎই ব্রড এসে স্টাম্পের বেল দু’টির স্থান পরিবর্তন করেন। লাবুশেন পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি গোটা ব্যাপারটি দেখে হাসতে থাকেন নন-স্ট্রাইকার খোয়াজার সঙ্গে।
ব্রডের বুদ্ধি কতটা কাজে লেগেছে সেটা বোঝা যায় পরের বলে। মার্ক উডের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন লাবুশেন। স্লিপে অসাধারণ ক্যাচ ধরেন জো রুট। আউট হয়েই হতাশায় মাথা নাড়তে থাকেন লাবুশেন। আম্পায়ারকে কোনও ব্যাপারে অভিযোগও করছিলেন তিনি। এরই মাঝে ব্রড এসে লাবুশেনকে কিছু বলেন। তার পরেই সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়ার ধীরগতিতে খেলা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল ভন বলেন যে, অস্ট্রেলিয়া মোটেই তাদের মতো করে খেলছে না। ব্রডের অবশ্য তাতে আপত্তি নেই। তিনি বলেছেন, “পুরনো দিনে যেমন ভাবে টেস্ট খেলা হত ওরা সে ভাবেই খেলেছে। আমার তাতে কোনও সমস্যা নেই।”