উৎসবে মেতে রশিদ খানেরা। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ চলছে। এখনও সেমিফাইনালে কোন চারটি দল খেলবে তা ঠিক হয়নি। কিন্তু এর মাঝেই শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য লড়াই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জন করার লড়াই। সেই কাজটাই করে ফেললেন রশিদ খানেরা। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সেই জায়গা পাকা হয়ে গিয়েছে।
সোমবার শ্রীলঙ্কা হেরে যেতেই আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল। আইসিসি বিশ্বকাপের মাঝে জানায় যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন করতে হলে বিশ্বকাপের লিগ তালিকায় প্রথম সাতের মধ্যে থাকতে হবে। ২০২৫ সালে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানে সেই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা। আয়োজক দেশ হিসাবে পাকিস্তান খেলবেই। আরও সাতটি দল সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার। তাই বিশ্বকাপে প্রথম সাতের মধ্যে থাকার লড়াই করছে সব দল। পাকিস্তান যদি প্রথম সাতের মধ্যে থাকে তাহলে অষ্টম স্থানে থাকা দল খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। আফগানিস্তান সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে। তাই তাদের আর কোনও ভাবেই আটটি দলের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাই আফগানিস্তান খেলছেই।
প্রথম বার আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে। এর আগে কখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথম বার খেলবে তারা প্রতিযোগিতায়। রশিদ খানদের কাছে তাই এই যোগ্যতা অর্জন খুবই আনন্দের। ক্রিকেট বিশ্বে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। এ বারের বিশ্বকাপে তারা পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়েছে। যা আগামী দিনে তাদের আরও ভাল খেলার আত্মবিশ্বাস দেবে।
মঙ্গলবার আফগানিস্তান খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যে ম্যাচ জিততে পারলে সেমিফাইনালে ওঠার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন রশিদেরা।