আম্পায়ারের সঙ্গে নাজমুল শান্ত এবং সমরবিক্রম। ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই ক্রিকেট ছাড়াও আরও অনেক কিছু দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। সোমবার দিল্লির মাঠে যেমন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বার দেখা গেল টাইম্ড আউট। কিন্তু সেটা ছাড়াও আরও তিনটি নাটক হল সেই ম্যাচ ঘিরে।
নাটক ১
শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ টাইম্ড আউট হওয়ার পর থেকেই শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা ক্ষিপ্ত ছিলেন। সেই ছাপ পড়ল বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামার পর। তখন লিটন দাস ব্যাট করছিলেন। তৃতীয় ওভারে পুল শট মারতে গিয়ে পেশিতে টান লাগে লিটনের। মাটিতে বসে পড়েন তিনি। মাঠে আসেন ফিজিয়ো। সুস্থ হয়ে উঠে আবার ব্যাট করতে শুরু করেন লিটন। কিন্তু কয়েক ওভার পর আবার একই ঘটনা। আবার মাঠে আসেন বাংলাদেশ দলের ফিজিয়ো। বার বার এমন ঘটতে থাকায় বিরক্ত হন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা। ম্যাথেউজের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বাকি ক্রিকেটারেরা বার বার কথা বলতে শুরু করেন আম্পায়ার মারিয়াস ইরাসমাসের সঙ্গে। তাঁকে সময়ের কথা মনে করিয়ে দেন ম্যাথেউজেরা।
নাটক ২
বেশ কয়েক বার বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শ্রীলঙ্কার সাদিরা সমরবিক্রমকে মাঠের মধ্যে তর্কাতর্কি করতে দেখা যায়। শাকিব আল হাসান ব্যাট করতে আসতেই বল হাতে নেন ম্যাথেউজ। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডারকে দেখা যায় শাকিবকে কিছু বলতে। বাংলাদেশ অধিনায়ক যদিও কিছু বলেননি। তবে শুরুর দিকেই ম্যাথেউজের কাছে সুযোগ ছিল শাকিবের উইকেট তুলে নেওয়ার। কিন্তু ক্যাচ ফেলে দেন আশালঙ্ক। যদিও শেষ পর্যন্ত শাকিবের উইকেটটি ম্যাথেউজই নেন। তাঁকে আউট করে ঘড়ি দেখান শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার।
নাটক ৩
ম্যাচ শেষেও বিতর্কের রেশ থেকে যায়। দুই দলের খেলোয়াড়েরা হাত মেলাননি। সাধারণত ম্যাচ শেষে আম্পায়ার এবং দুই দলের খেলোয়াড়েরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলান। সেটাই রীতি। কিন্তু সোমবার আম্পায়ারদের সঙ্গে খেলোয়াড়েরা হাত মেলালেও বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারেরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি।