কোহলীদের সেমিফাইনালের আশা প্রায় শেষ। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তান ম্যাচের পুনঃসম্প্রচার। গত রবিবারের মতো এই সপ্তাহে ফের অস্তাচলে ভারতীয় ব্যাটিং। বল হাতে নিউজিল্যান্ডকেও চাপে ফেলতে পারলেন না যশপ্রীত বুমরারা। টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ ভারতের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে হেরে গেল ভারত।
লোকেশ রাহুলের সঙ্গে রোহিত শর্মা নন, রবিবার নেমেছিলেন ঈশান কিশন। তবে ব্যর্থ হন তরুণ উইকেটরক্ষক। ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন তিনি। ভারতের মাত্র তিন ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১০০-র উপরে। লোকেশ রাহুল তাঁদের মধ্যে একজন। ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
রোহিত শর্মা নেমে এ বারেও প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন। অ্যাডম মিলনে সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় জীবন পান তিনি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। একটি চার, একটি ছয় মারলেও ১৪ বলে ১৪ রান করেই শেষ হয়ে যায় তাঁর ইনিংস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু কেন উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ফাঁক খুঁজেই পেলেন না। সব বলা ধরা পড়ল ফিল্ডারদের হাতে। ১৭ বলে ৯ রান করে ইশ সোধির বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
দুবাইয়ের মাঠ বিরাট কোহলীদের জন্য বেশ বড় মনে হতে শুরু করল। একের পর এক ব্যাটার এলেন চার, ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিলেন। রান পাননি ঋষভ পন্থও (১২)। হার্দিক পাণ্ড্য এবং রবীন্দ্র জাডেজা রান পেলেও তা টি২০ ক্রিকেটের উপযুক্ত গতিতে করতে পারেননি। ২৪ বলে ২৩ রান করেন হার্দিক। জাডেজা অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি শার্দূল ঠাকুর।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ঈশানকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন তিনিই। বাঁ-হাতি পেসারের বিরুদ্ধে অসহায় দেখাল ভারতীয় ব্যাটারদের। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দেন বোল্ট। সোধি নেন দু’টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন অ্যাডম মিলনে এবং টিম সাউদি।
রান তাড়া করতে নেমে কখনও বিপদে পড়তে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। ১৭ বলে ২০ রান করে মার্টিন গাপটিল ফিরে গেলেও দলকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ড্যারিল মিচেল। ৩৫ বলে ৪৯ রান করেন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান করেন মিচেল। তিনি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও সেই কাজটা করেন উইলিয়ামসন। ৩১ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। ভারতের হয়ে দু'টি উইকেট নেন বুমরা। যদিও দলকে জেতানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।