বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
বিতর্কে জড়ালেন বিরাট কোহলি। বলা ভাল, নীতিপুলিশি বিতর্কে জড়াল তাঁর রেস্তরাঁ। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এক ব্যক্তি প্রথাগত ভাবে ধুতি পরে কোহলির রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই পোশাকে তাঁকে রেস্তরাঁয় ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কোহলির রেস্তরাঁয় খেতে গেলে কী নির্দিষ্ট পোশাক পরেই যেতে হবে? যেমন খুশি পোশাক পরা যাবে না? একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠল পোশাক-স্বাধীনতার প্রশ্ন। কোহলির রেস্তরাঁর কর্মীদের মানসিকতা এবং ব্যবহারও সমালোচনার বাইরে থাকল না। অভিযোগ, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের রেস্তরাঁয় ‘নিষিদ্ধ’ ভারতীয় পোশাক!
সম্প্রতি ভারতীয় পোশাক পরে মুম্বইয়ের জুহুতে কোহলির রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে বাধা পেতে হয়েছে এক ব্যক্তিকে। তামিলনাডুর ওই বাসিন্দা সেখানকার প্রথা মতো লুঙ্গির মতো করে ধুতি পরে গিয়েছিলেন। যা দক্ষিণ ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং পরিচিত। বিনীত কে নামে ওই ব্যক্তি ‘ওয়ান ৮’ রেস্তরাঁর নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যবহারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত।
পরে বিনীত ঘটনার ভিডিয়ো-সহ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘এই রেস্তরাঁটি কোহলির। মুম্বইয়ের জুহুতে অবস্থিত। সেখানে পৌঁছনোর পর যে ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তা অত্যন্ত হাতাশাজনক। ঘটনাটি আমাকে বেশ কষ্টও দিয়েছে। আমি জুহুর ‘ওয়ান ৮’ রেস্তরাঁয় গিয়েছিলাম। রেস্তরাঁটি কোহলির। আমি তাঁর বড় ভক্ত। যথেষ্ট ভাল পোশাক পরে যাওয়ার পরেও রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ আমাকে ঢুকতে দিতে রাজি হননি। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আমি নাকি যথাযথ পোশাক পরিনি! তাঁদের আচরণ ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং হতাশাজনক। ফিরে আসতে বাধ্য করা হয় আমাকে। জানি না কোহলি এই ঘটনার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেবেন কি না। আশা করব এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর কখনও ঘটবে না।’’
সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। কোহলির জুহুর রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মত অনেকের। রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নীতিপুলিশির অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার এই ঘটনা নিয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যদিও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি কোহলিকে জড়িয়ে ফেলারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।