—প্রতীকী চিত্র।
গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত মুশির খান। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। সেই স্মৃতিই ফিরল শনিবার। আজমগড় থেকে লখনউ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুশিরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা নৌশাদ খানও। আরও দু’জন সেই গাড়িতে ছিলেন।
শুক্রবার আজমগড় থেকে লখনউ যাওয়ার পথে মুশিরদের গাড়ি ধাক্কা মারে ডিভাইডারে। উল্টে যায় গাড়িটি। নৌশাদ এবং বাকিদের খুব বড় আঘাত লাগেনি বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু মুশিরের মাথায় চোট লাগে। তাঁর ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সকলকে। চিকিৎসকদের মতে মুশিরের সুস্থ হতে ১৬ সপ্তাহ সময় লাগবে। তাঁর হাড় ভেঙেছে বলেও জানা গিয়েছে। রবিবার তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাঁর বাকি চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার রাতে মুশিরের একটি দুর্ঘটনা ঘটে। ইরানি কাপে খেলতে পারবে না ও। রবিবার মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হবে মুশিরকে। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখবেন। বোর্ড আবার তাঁর স্ক্যান এবং বাকি শারীরিক পরীক্ষা করবে।”
দুর্ঘটনার পর মুশির খানের গাড়ির অবস্থা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
১ অক্টোবর থেকে শুরু ইরানি কাপ। মুম্বই দলে ছিলেন মুশির। সেই ম্যাচ খেলার জন্যই লখনউ যাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার। কিন্তু ১৯ বছরের মুশির ইরানি কাপে খেলতে পারবেন না। রঞ্জি ট্রফির আগে সুস্থ হতে পারবেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সেই প্রতিযোগিতা। মুম্বই দল লখনউ পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু দলের সঙ্গে যাননি মুশির। তিনি বাবার সঙ্গে আজমগড় থেকে লখনউ যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ন’টি ম্যাচ খেলেছেন মুশির। ৭১৬ রান করেছেন তিনি। করেছেন তিনটি শতরান। তাঁর গড় ৫১.১৪। দলীপ ট্রফিতে ভারত বি-র হয়ে প্রথম ম্যাচে ১৮১ রানের ইনিংস খেলেন মুশির। তাঁর দাদা সরফরাজ় খান ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দলে রয়েছেন তিনি। যদিও প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি।