কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
টানা তিন ম্যাচে হার। সেই সঙ্গে সমর্থকদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। শুক্রবার চলতি আইএসএলে প্রথম হোম ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-৩ গোলে হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল। গত মরসুমের মাঝে দলকে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন করার পরেও ইস্টবেঙ্গলের ছেড়ে দেওয়া স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরার হ্যাটট্রিকেই হার লাল-হলুদ বাহিনীর।
দল যে ভাল খেলতে পারেনি তা স্বীকার করে নিয়েছেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম। ম্যাচের আগে যে ভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম তা কাজে আসেনি। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। ২০ মিনিটের মধ্যে দুটো গোল খেয়ে গেলে পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছি না। তিনটে ম্যাচের কোনওটাতেই আমরা ভাল খেলতে পারিনি।”
লাল-হলুদ কোচের মতে দল একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সব দলেই এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে মনে করেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন কিছুই আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না। ফুটবলে এমন হয়। বিশেষ করে ঘরের মাঠে হার মেনে নেওয়া কঠিন। আমাদের অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়ার জন্যেও লড়াই করতে হচ্ছে।”
তবে এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ স্প্যানিশ কোচ। বলেন, “আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। উন্নতি করতে হবে। খেলোয়াড়দের ছন্দে ফেরাতে হবে। দিয়ামান্তাকস, ক্রেসপো চোট সারিয়ে ফিরে এলে আশা করি আমরা ভাল খেলব।”
ক্লাবের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আশা ছাড়তে রাজি নন আইএসএল জয়ী কোচ। কুয়াদ্রাত বলেন, “আমরা ভবিষ্যতের জন্য দল গড়ছি। আমাদের দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে রয়েছে বিষ্ণু, সায়ন, আমনের মতো তরুণেরা। এই দল ভবিষ্যতের জন্য এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমাদের আশাবাদী হতে হবে। আমরা সবাই এই পরিস্থিতিতে হতাশ। বুঝতে পারছি যে, সমর্থকেরা অসন্তুষ্ট। ওরা আবেগপ্রবণ, ওদের এই ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা জানি যে সমর্থকেরা ক্লাবকে ভালবাসে এবং সব সময় ক্লাবকে সমর্থন করবে।”
শুক্রবারের ম্যাচের নায়ক তিন গোল করা হেরেরা। তাঁকে গত মরসুমে ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে কুয়াদ্রাত বলেন, “ফুটবলে এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। কখনও কখনও খেলোয়াড় নিজেই চলে যেতে চায় এবং আমাদের তা মেনে নিতে হয়। বোরহার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল। যখন কেউ চলে যেতে চায়, তখন তাকে আটকানো খুব কঠিন।”