পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন কোহলি। —ফাইল চিত্র
তাঁর ব্যাটেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। কিন্তু জয়ের কৃতিত্ব নিজে নিচ্ছেন না বিরাট কোহলি। জয়ের কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্যকে। তাঁর মতে, হার্দিকই তাঁর সাহস বাড়িয়েছিলেন।
ম্যাচের পরে কোহলি ও হার্দিকের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১১৩ রানের জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। মাঠে ব্যাট করার সময় তাঁরা কী ভাবছিলেন, কী কথা বলছিলেন সেটাই ভিডিয়োতে জানিয়েছেন দুই ক্রিকেটার। কোহলি বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে, আমি খুব চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এর আগেও আমি অনেক ম্যাচে এই জায়গায় খেলতে নেমেছি। তাই জানতাম ওখান থেকে ম্যাচ জেতা কঠিন। কিন্তু হার্দিকের বিশ্বাস ছিল। ও বার বার বলছিল আমরা জিতব। হার্দিকের কথায় আমারও মনের জোর বাড়ছিল।’’
মহম্মদ নওয়াজ়কে তাঁরা নিশানা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কোহলি। কিন্তু তাঁকে বল থেকে সরিয়ে নেওয়ায় পরিকল্পনা বদল করতে হয়। কোহলি বলেন, ‘‘হার্দিক বলছিল, ও নওয়াজ়কে এক ওভারে তিন-চারটে ছক্কা মারতে পারবে। কিন্তু তার পরেই নওয়াজ়কে ওরা সরিয়ে দেয়। তাই আমরা অন্য বোলারদের দিকে নজর দিই। তখনই আমি হার্দিককে বলি, যদি হ্যারিস রউফ মার খেয়ে যায় তা হলে বাকিরা চাপে পড়ে যাবে। সেটাই হয়েছে।’’
কোহলি তাঁকে কৃতিত্ব দিলেও হার্দিক আবার পাল্টা সতীর্থের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রউফকে মারা কোহলির দুটি ছক্কা ভুলতে পারছেন না তিনি। হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমি অনেক ছক্কা মেরেছি। কিন্তু রউফকে কোহলি যে দুটো ছক্কা মেরেছে তার কোনও তুলনা নেই। ওই পরিস্থিতিতে ও রকম ছক্কা কোহলি ছাড়া কেউ মারতে পারবে না। আমরা দু’জনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। তখন আমাদের মাথায় জেতা ছাড়া কিছু ছিল না।’’ তিনি আউট হলেও কোহলি যে শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জিতিয়েছেন তার জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন হার্দিক।