দল জিতলেও ছন্দে নেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টান টান ম্যাচে জয়ের পরে ভারতীয় দলের নতুন জাদুকরের খোঁজ পেয়ে গিয়েছেন সুনীল গাওস্কর। তাঁর মতে, রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলি নন, ভারতীয় দলের নতুন জাদুকর লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে রান করার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের সময় রাহুল জাদু দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ভারতের করা ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে লিটন দাসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শুরুটা খুব ভাল করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ৭ ওভারের পরে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে এগিয়ে ছিলেন শাকিবরা। বৃষ্টি থামার পরে আবার খেলা শুরু হলে দ্বিতীয় বলে রাহুলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে ২৭ বলে ৬০ রান করে রান আউট হয়ে যান লিটন। সেখানেই খেলা ঘুরে যায়। তাই ভারতের জয়ের কৃতিত্ব রাহুলকে দিচ্ছেন গাওস্কর।
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের পরে গাওস্কর বলেছেন, ‘‘রাহুল জাদুকর। কারণ, ওখান থেকে উইকেটে মারার চেষ্টা না করে ও উইকেটরক্ষকের দিকে বল ছুড়তে পারত। তাতে ওকে কেউ কোনও দোষ দিত না। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ঠিক দিকে বল ছুড়েছে রাহুল। ওই একটা থ্রোয়ে খেলা ঘুরে গেল। মাঠে জাদু দেখাল রাহুল।’’
যেখান থেকে রাহুল থ্রো করেছিলেন সেখান থেকে উইকেটরক্ষকের দিকে থ্রো করা সহজ ছিল। কিন্তু সেটা না করে রাহুল থ্রো করেন বোলারের দিকে। লিটনকে দেখেই তিনি সে দিকে বল ছোড়েন বলে মনে করেন গাওস্কর। তিনি বলেছেন, ‘‘রাহুল থ্রো করার আগে এক বার তাকিয়ে দেখেছিল যে লিটন দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় পিছলে গিয়েছে। ও জানত লিটনের গতি কম হবে। তাই ওর দিকে থ্রো করেছিল। বলটা সোজা গিয়ে উইকেটে লাগে। কয়ের সেকেন্ডের মধ্যে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে না লাগালে রান আউট করতে পারত না রাহুল।’’
প্রথম তিন ম্যাচে রান পেলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩২ বলে ৫০ রান করেছেন রাহুল। ছন্দে ফেরার কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন সতীর্থ কোহলিকে। উল্লেখ্য, ম্যাচের আগের দিন কোহলির সঙ্গে অনেক ক্ষণ অনুশীলন করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার। ম্যাচের পর রাহুল বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার পিচ এ বার কতটা আলাদা সেটা নিয়েই কথা হয়েছিল। এর আগে এখানে এসে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছি। ভেবেছিলাম উইকেট একটা নির্দিষ্ট আচরণ করবে। এখনও পর্যন্ত সেটা হয়নি। আগের সফরের থেকেও এ বারের বিশ্বকাপ কঠিন। সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
পিচ বদলালে মানসিকতাও বদলাতে হয়। সেটাও কোহলির কাছ থেকে শিখে নিয়েছেন রাহুল। বলেছেন, “পিচ বদলে গেলে মানসিকতাও বদলাতে হয়। ক্রিজে নেমে কী ভাবে ইনিংস এগোতে পারি, সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছি। ও যেটা বলছে সেটা ক্রিজে নেমে কাজে লাগাতে পারি কিনা, সেটার চেষ্টা করছিলাম। দু’জনে একে অপরকে সাহায্য করেছি। কোহলি গত কয়েকটা ম্যাচে খুবই ভাল খেলছে। ও কী ধরনের মানসিকতা নিয়ে নামে, সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি।”