টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজির গড়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মাহেলা। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বুধবার শুধু দলকেই জেতাননি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজির গড়েছেন বিরাট কোহলি। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান হয়ে গিয়েছে তাঁর। ধারেকাছে আর কেউ নেই। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনেকে টপকে গিয়েছেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই মুহূর্তে তাঁর রান ১০৬৫।
বুধবার ম্যাচের পরেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানে কোহলিকে শুভেচ্ছা জানান, “রেকর্ড ভাঙার জন্যেই তৈরি হয়। কেউ না কেউ এক দিন ঠিক আমার রেকর্ড ভেঙে দিত। বিরাট, দারুণ কাজ করেছো। বরাবরই তুমি এক জন যোদ্ধা। ছন্দ সাময়িক, কিন্তু প্রতিভা চিরকালীন। চালিয়ে যাও বন্ধু।”
প্রসঙ্গত, ৩১ ম্যাচে সমসংখ্যক ইনিংসে ১০১৬ রান করেছিলেন জয়বর্ধনে। কোহলির ৬টি ম্যাচ এবং ৮টি ইনিংস কম লাগল শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ককে পেরিয়ে যেতে। তিনি ২৫টি ম্যাচ খেলে ২৩তম ইনিংসে এই নজির গড়লেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০০০ রান হয়ে গিয়েছিল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের।
প্রায় তিন বছর চেনা ছন্দে ছিলেন না বিরাট কোহলি। রান এলেও বড় পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। ছন্দে ফিরতে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। ঘাড় থেকে দায়িত্ব নামিয়েও হালকা হতে পারছিলেন না কিছুতেই। তখনই কোহলি পান খুশি খবর। যে খবরে ছিল রানের গন্ধ।
সমালোচনা কম হয়নি। তবু মুখ খোলেননি। নিজের কাজ করে গিয়েছেন। নানা চেষ্টা করেছেন রানে ফেরার। কোহলি আসলে জানতেন রান পাবেনই। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে জানতে পারে খুশি হন। তাঁর খুশির মাত্রা এতটাই ছিল যে, কান এঁটো করা হাসিও হেসে ফেলেন। সে হাসি অবশ্য দেখাননি কাউকে। বললেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় অর্ধশতরান করার পর।
বুধবার কোহলি বলেন, ‘‘কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করতে চাই না। যেটা অতীতে হয়ে গিয়েছে, সেটা হয়ে গিয়েছে। যখন জানতে পারি এ বারের বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হবে, তখনই খুব খুশি হয়েছিলাম। চওড়া হাসি হেসেছিলাম। কান এঁটো করা হাসি ছিল সেটা। জানতাম ভাল ক্রিকেট শট খেলাই হবে আসল। অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আগেই ছিল। জানতাম দলেরও সুবিধা হবে।’’ কারণ হিসাবে কোহলি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার গতিশীল উইকেটেই তিনি ব্যাট করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।