চেনা ছন্দে ফেরা শাহিন বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের অন্যতম ভরসা। ফাইল ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডকে হারানোর পর উচ্ছ্বাসের বাধ ভাঙে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। পাক ক্রিকেটাররা একে অপরকে জড়িয়ে ধরছিলেন। সে সময় শাহিন আফ্রিদির কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে গেলেন তাঁর সতীর্থরাই।
প্রতিযোগিতার শুরুটা খারাপ হওয়ার পর বাবর আজ়মের দলের সমালোচনা শুরু হয়েছিল। প্রায় খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা থেকে ফাইনালে ওঠার পর পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা নিজেরাই বোধহয় বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ক্রিকেটাররা নানা ভাবে উচ্ছ্বাস, আনন্দ প্রকাশ করছিলেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছিলেন। দুই সতীর্থকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখে এগিয়ে যান শাহিন। দু’জনকে একসঙ্গে কোলে তুলে নেন শাহিন। দুই সতীর্থকে বার দুয়েক ঝাঁকিয়ে মাটিতে নামিয়ে দেন। তা দেখে সেখানে উপস্থিত সকলেই চমকে যান। শাহিনের এই কাণ্ডের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। পরে সাজঘরে গিয়ে দলের সবাইকে নিয়ে ছবিও তোলেন শাহিন। পর পর তিন ম্যাচে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া শাহিন হয়তো এ ভাবেই জবাব দিতে চেয়েছেন তাঁর সমালোচকদের।
পাকিস্তানের বাঁহাতি জোরে বোলার মাস খানেক আগেও ঠিক মতো হাঁটতে পারছিলেন না। হাঁটুর চোট সারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা শাহিনের ফিটনেস নিয়েও উঠছিল প্রশ্ন। সেই শাহিনই শেষ তিন ম্যাচে বল হাতে ঝড় তুলছেন। নিয়েছেন ৯ উইকেট। সেমিফাইনালেও নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। কেন উইলিয়ামসনকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি।
তিন মাস পর মাঠে ফেরা শাহিনের এমন কাণ্ড দেখে সতীর্থরাও অবাক হয়ে যান। বাবররা হয়তো খানিকটা স্বস্তিও পেয়েছেন। একসঙ্গে দু’জনকে তুলে নিচ্ছেন মানে বাঁহাতি জোরে বোলারের হাঁটুতে আর কোনও সমস্যা নেই। তিনি আগের মতোই সম্পূর্ণ সুস্থ। ছন্দ ফিরে পাওয়া শাহিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন। একাই ধস নামাতে পারেন প্রতিপক্ষের ইনিংসে। সেরা ছন্দের শাহিনকে সমীহ করেন বিশ্বের সব ব্যাটারই। তাঁর উপর অনেকটা নির্ভর করেন বাবরও।