২০ ওভারের ক্রিকেটে নতুন নজির গড়লেন শাহিন। ছবি: আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে খেলানো নিয়ে চলছে সমালোচনা। পাকিস্তানের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রশ্ন তুলেছেন শাহিন আফ্রিদির ফিটনেস নিয়ে। অথচ সেই শাহিনই নতুন নজির গড়লেন বিশ্বকাপে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনবদ্য বোলিং করেছেন শাহিন। অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন পুরনো ছন্দ। ৩ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। কুইন্টন ডি’কক, রিলি রুসো এবং হেনরিখ ক্লাসেনের উইকেট তুলে নিয়েছেন। ৩ উইকেট পাওয়ার সুবাদে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন শাহিন। একই সঙ্গে গড়েছেন নতুন নজির।
জোরে বোলারদের মধ্যে পাকিস্তানের শাহিন সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ উইকেট নিলেন। ২২ বছর ২১১ দিন বয়সে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৫০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন শাহিন। কোনও পুরুষ ক্রিকেটারকে নয়, শাহিন ভাঙলেন এক মহিলা ক্রিকেটারের নজির। অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেট দলের জোরে বোলার এলিস পেরিস ২৩ বছর ১৪৪ দিন বয়সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন। সব বোলারদের মধ্যে শাহিন অবশ্য চতুর্থ কনিষ্ঠতম হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০ উইকেট নিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর আগে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মহিলা ক্রিকেটার স্টেফানি টেলর এবং ভারতের মহিলা ক্রিকেটার দীপ্তি শর্মা। তাঁরা সকলেই স্পিন বল করেন।
ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কয়েক দিন আগেই মুখ খোলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি জোরে বোলার। তিনি বলেছিলেন ‘‘হাঁটুর গুরুতর চোট সারিয়ে তিন মাস মাঠে ফিরে আসা সহজ নয়। যারা এ ধরনের চোট পেয়েছে, তারাই শুধু জানে কতটা কঠিন ফিরে আসা। বিশ্বকাপে ১০০ শতাংশই দেওয়ার চেষ্টা করছি। বলের গতি আগের মতোই রয়েছে। গড়ে ১৩৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করছি। হ্যাঁ এটা ঠিক, এখনও সম্পূর্ণ ফিট হতে পারিনি। চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব আগের মতো ফিটনেস ফিরে পেতে। ম্যাচ ফিটনেস আলাদা জিনিস। তিন মাস পর খেলতে নামলে হঠাৎ করে ম্যাচ ফিট হওয়া সম্ভব নয়। একটু সময় লাগে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অনবদ্য পারফরম্যান্স তাঁর সমালোচকদের কয়েক দিনের জন্য মুখ রাখতে বাধ্য করতে পারে।