হারের জন্য দলের ব্যাটারদের দায়ী করেছেন বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পর পর দু’টি ম্যাচে হারের শোক সামলাতে পারেননি পাকিস্তানের ক্রিকেটার শাদাব খান। জ়িম্বাবোয়ের কাছে হারের পরে সাজঘরে যাওয়ার পথে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কোনও রকমে তাঁকে তুলে সাজঘরে পাঠানো হয়।
নেটমাধ্যমে শাদাবের কান্নার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাজঘরে যাওয়ার পথে মাটিতে বসে পড়ে কাঁদছেন শাদাব। কিছু ক্ষণ পরে পাকিস্তানের এক সাপোর্ট স্টাফ তাঁকে এসে বোঝান। তিনি জোর করে শাদাবকে তুলে সাজঘরে পাঠান।
জ়িম্বাবোয়ের কাছে হার বিশ্বাস করতে পারেননি বাবর আজ়মরাও। হতবাক হয়ে বসেছিলেন সাজঘরে। বাকিদেরও একই হাল। মনে হচ্ছিল, মাথায় বাজ পড়েছে তাঁদের। এক দিকে মাঠে যখন জ়িম্বাবোয়ের ক্রিকেটাররা আনন্দ করছেন তখন দেখা যায়, সাজঘরে বাবররা চুপ করে বসে। অধিনায়ককে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। মুখ ঢাকেন রিজ়ওয়ান। বাকিদের অবস্থাও ছিল একই রকম। হতবাক হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পাকিস্তানের কোচ ম্যাথু হেডেনকে। এ ভাবে শেষ বলে পর পর দুটো ম্যাচে হার মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। হতাশ মুখে গ্যালারিতে বসে থাকতে দেখা যায় পাকিস্তানের সমর্থকদেরও।
উল্লেখ্য, জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হারের জন্য দলের ব্যাটিংকে দায়ী করেছেন বাবর। ম্যাচ শেষে বলেছেন, “দলের খেলা খুব হতাশাজনক। ব্যাটিং একদমই ভাল হয়নি। প্রথম ৬ ওভারে খুব খারাপ ব্যাটিং করেছি আমরা। শাদাব খান এবং শান মাসুদ জুটি গড়েছিল। শাদাবের আউট হয়ে যাওয়াটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এর পরেই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়তে থাকে। শেষের দিকটা ভাল হচ্ছিল। দলের সবার সঙ্গে বসব। এই ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেব। পরের ম্যাচে দাপটের সঙ্গে ফিরে আসব আমরা।”
অন্য দিকে পাকিস্তানের খারাপ খেলার জন্য সরাসরি বাবরের দিকে আঙুল তুলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। বাবরকে ‘জঘন্য’ অধিনায়ক বলেছেন তিনি। আখতার বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে। খাতায়কলমে সুযোগ থাকলেও এটাই সত্যি। খুব হতাশ লাগছে। কষ্ট হচ্ছে। পাকিস্তান যে এ ভাবে হারবে সেটা ভাবতে পারিনি।” আখতার আরও বলেছেন, “বাবর জঘন্য অধিনায়ক। ওর কোনও পরিকল্পনা নেই। ভারতের বিরুদ্ধেও ওর জন্য হেরেছিলাম। বার বার মহম্মদ নওয়াজ়কে শেষ ওভারে বল করার জন্য ধরে রাখে। বার বার আমরা হারি। দলে চার জন পেসার খেলানো উচিত। সেখানে বাবর তিন জনকে খেলাচ্ছে। তার মধ্যে শাহিন সুস্থ নয়। তার পরেও ওকে নামিয়ে দিয়েছে। আরও তো পেসার আছে। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’’