অধিনায়ক হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা হল না বাবর আজ়মের। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও সতীর্থদের লড়াইয়ে গর্বিত বাবর আজ়ম। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সতীর্থদের যোদ্ধা হিসাবে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
ম্যাচের পরে একটি টুইট করেছেন বাবর। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘দলের উপর অসম্ভব গর্বিত। তোমরা সবাই যোদ্ধার মতো লড়াই করেছ। তোমরা যে ভাবে খেলেছ, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।’’
ফাইনাল জিততে না পারলেও দল যে এত দূর এসেছে সেটা ভেবেই গর্বিত বাবর। ফাইনালে হারের হতাশা তাঁর চোখেমুখে থাকলেও বার বার কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের। প্রশংসা করেছেন তাঁদের সাহসিকতার। দলের বোলিং বিভাগ নিয়ে গর্বিত তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফদের কৃতিত্ব দিয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বোলিং বিভাগই বিশ্বের সেরা।
ম্যাচ শেষে বাবর বলেছেন, “আমাদের ২০ রান কম উঠেছিল। কিন্তু শেষ ওভার পর্যন্ত লড়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আমাদের বোলিং বিভাগ বিশ্বের অন্যতম সেরা। আজ দুর্ভাগ্যবশত শাহিনের চোটে ধাক্কা খেয়েছি। না হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু এটা খেলারই অংশ। মেনে নিতেই হবে।” বাকি সতীর্থদেরও প্রশংসা করতে ছাড়েননি তিনি। বাবর বলেছেন, “যে ভাবে গত চারটে ম্যাচে সতীর্থরা খেলেছে তা এককথায় অবিশ্বাস্য। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওরা। ওদের জন্যেই আমরা ফাইনালে খেলতে পেরেছি।”
ফাইনালের আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ৩০ বছর আগের জয়ের সেই অধিনায়ক ইমরান খান বার্তা দিয়েছিলেন। সেই বার্তা কি বাবর দিয়েছিলেন দলের কাছে? পাক অধিনায়ক বলেছেন, “হ্যাঁ সবাই সেটা জানত। আমি একটা কথা বলে দিয়েছিলাম, খোলা মনে খেলো। স্বাধীন ভাবে খেলো। কোনও চাপে থাকার দরকার নেই।”
রবিবারের ম্যাচে মেলবোর্নের উইকেট কাজে লাগিয়ে ভাল বল করেছেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। নিয়মিত ব্যবধানে পাকিস্তানের উইকেট পড়েছে। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৭ রান করেন বাবররা। রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতেন জস বাটলাররা। অর্ধশতরান করলেন বেন স্টোকস। ২০১০ সালের পরে আরও এক বার ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। ৩০ বছর আগের দুঃখ ঘুচেছে ইংরেজদের। অন্য দিকে ইমরান খানের কীর্তি করে দেখাতে পারেননি বাবর। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ইমরান। বাবর সেটা করতে পারেননি। হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।