বাবরকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ় রাজা। ছবি: এএফপি।
মাত্র দুটো বল। তাতেই হয়ে গেল বিশ্বকাপের ফয়সালা। দুটো বলেই খেলা বেরিয়ে গেল পাকিস্তানের হাত থেকে। দুটো বলেই ম্যাচ জিতে গেল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের ফাইনালে সেই চোটের ধাক্কা পাকিস্তান দলে। চোটের কারণেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল বাবর আজ়মের।
কিন্তু কোন দুটো বল? ইংল্যান্ডের ইনিংসে ১৬তম ওভারের শেষ দুটো বল, যা করার কথা ছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির। কিন্তু করতে হল ইফতিকার আহমেদকে। শাহিন থাকলে হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হত। কিন্তু হল না। কারণ, চোটের কারণে মাঠেই থাকতে পারলেন না শাহিন। চলে গেলেন মাঠ ছেড়ে। সেটাই কাল হল পাকিস্তানের।
শেষ পাঁচ ওভারে জেতার জন্য ৪১ রান করতে হত ইংল্যান্ডকে। ক্রিজে ছিলেন বেন স্টোকস ও মইন আলি। খুব একটা ছন্দে ছিলেন না তাঁরা। মইন সবে নেমেছিলেন। স্টোকস ৩৫ বলে ২৮ রান করে খেলছিলেন। ১৬তম ওভার করতে আসেন শাহিন। কিন্তু করতে পারলেন না তিনি।
তিন ওভার আগে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরেন শাহিন। সেই ক্যাচ ধরতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। তার পরে দেখা যায়, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। ফিজিয়ো কিছু ক্ষণ মাঠেই তাঁর চিকিৎসা করেন। তার পরে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, পুরনো চোটের জায়গায় আবার লেগেছে। শাহিন বল করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা যায়। কিন্তু ১৬তম ওভারের ঠিক আগেই মাঠে ফেরেন শাহিন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পাক সমর্থকরা। কিন্তু প্রথম বল করতে গিয়েই দেখা যায়, ভাল করে দৌড়তে পারছেন না তিনি। চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন শাহিন।
হাঁটুর চোট সারিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলেন শাহিন। কিন্তু প্রথম দুটো ম্যাচে খুব একটা ছন্দে ছিলেন না। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সুস্থ না হতেই কেন শাহিনকে নামানো হয়েছে? যদিও পরের দিকে শাহিন ছন্দে ফেরেন। শেষরক্ষা হল না। সেই ফাইনালেই চোটের গেরোয় পড়তে হল তাঁকে।
এক বল করার পরে শাহিন আর বল করতে না পারায় ইফতিকারকে ওভার শেষ করতে বলেন বাবর। প্রথম তিনটি বল ভাল করলেও পঞ্চম বলে তাঁকে চার মারেন স্টোকস। পরের বল লং অফের উপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দেন তিনি। ওই ১০ রান ইংল্যান্ডকে খেলায় ফেরায়। তার পরে লক্ষ্য হয় ২৪ বলে ২৮ রান। সেটা সহজেই তুলে নেন স্টোকসরা। কিন্তু ওই ওভারের শেষ দুই বলেই ম্যাচ পাকিস্তানের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয় বাবরদের।