টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমরা, হর্ষলকে পাবেন রোহিত। ফাইল ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্বস্তি। চোট সারিয়ে সুস্থ যশপ্রীত বুমরা এবং হর্ষল পটেল। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে হওয়া ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেছেন দুই জোরে বোলার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসকরা দুই ক্রিকেটারের শারীরিক সক্ষমতার উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এশিয়া কাপে জোরে বোলিং নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভারতীয় দল। অর্শদীপ সিংহ, আবেশ খানরা ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। সমস্যার কথা মেনে নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। বুমরা, হর্ষল সুস্থ হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই সমস্যা মিটবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
একাধিক ক্রিকেটারের চোট-আঘাতের সমস্যা থাকায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেনি। এশিয়া কাপে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সও দেখে নিতে চেয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচকরা। বুমরা এবং হর্ষল চোটমুক্ত হওয়ায় নির্বাচকদের দল বেছে নিতে সুবিধা হবে। যদিও চোটের জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া রবীন্দ্র জাডেজা চিন্তা বাড়িয়েছেন তাঁদের। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অথবা ১৬ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচন হতে পারে। সে দিনই অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলও নির্বাচন করা হবে। বিশ্বকাপের দলে যাঁরা তাকবেন, মূলত তাঁদের নিয়েই এই দুই প্রস্তুতি সিরিজের দল গঠন হতে পারে। বিশ্বকাপে স্ট্যান্ড বাই হিসাবে যাঁদের রাখা হবে, তাঁদেরও খেলানো হতে পারে এই সিরিজ দু’টিতে। দল নির্বাচনী বৈঠকের আগে রোহিত এবং ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চান জাতীয় নির্বাচকরা।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করলেও অপেক্ষা করছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় সম্ভাব্য সেরা দল পাঠাতে চান নির্বাচকরা। বুমরা, হর্ষল সুস্থ হয়ে যাওয়ায় বোলিং আক্রমণ নিয়ে চিন্তা কমবে তাঁদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে পাঁচ জন জোরে বোলার রাখার কথা ভাবা হয়েছে। ভুবনেশ্বর কুমার, বুমরা এবং হর্ষলের দলে থাকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। অর্শদীপ থাকতে পারেন বিশ্বকাপের দলে। বাঁহাতি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন তিনি। আলোচনায় রয়েছেন আরও তিন জন। আবেশ, দীপক চাহার ছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছেন মহম্মদ শামি।
বাংলার জোরে বোলারকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ভাবতে চাইছিলেন না নির্বাচকরা। তাঁকে মূলত টেস্ট এবং দরকারে এক দিনের ক্রিকেটের জন্য ভাবা হচ্ছিল। হঠাৎ করেই তিনি আলোচনায় উঠে এসেছেন। কারণ, দুবাইয়ে ভারতীয় বোলিং আক্রমণে অভিজ্ঞতার অভাব দেখা গিয়েছে। বিশ্বকাপের আসরে সেই অভাব ঢাকতেই শামির কথা ভাবছেন জাতীয় নির্বাচকরা।